এইতো সেদিন,নিখিলের ছেলের হলো তীব্র জ্বর
মাঝরাত্রিতে দড়জায় তীব্র কড়াঘাতঃ'দাদা মনার খুব জ্বর'
বর্ষার রাত্রি,কিছু পয়সা সমেত চললাম হাসপাতালে।
বৃষ্টির স্পর্শে মনে আসে চাঞ্চল্য,ইচ্ছে জেগেছিল বৃষ্টি স্নানের
হঠাৎ দুটো হাত ধরে নিখিলের সেকি হাউমাউ কান্না,' দাদা চির-কৃতজ্ঞ '
আমার সরল স্বীকারোক্তি,' কি বলিস বোকা,তুই না আমার ভাই '।
আবছা ভোরের আলোয় বাবার কথা খুব মনে পড়ল
ঘন আঁধার রাতে তার বুকে ব্যাথা উঠল ,সেকি কষ্ট তার!
ডাক্তারবাবুর কড়া নির্দেশ;বুক কাটা লাগবে ,পয়সা ছাড়া হবে না।
পয়সা বলতে কিছুই ছিলনা;শেষ সম্ভল ছিল ভিটেমাটি
মায়ের অশ্রু দেখে বুকটা ফেটে যাচ্ছিল,বাবা ব্যাথায় গুঙ্গাচ্ছিলেন
নিখিলের মা এসে দাড়ালেন, ‘কিরে বাপকে ফেলে রেখেছিস কেন ?’
স্বর্ণের বালা দুটি হাতে ধরিয়ে দিলেন, ‘দেরি করিসনা ,ডাক্তারবাবুকে ডাক’
নিখিল আর আমি নাকি আজ শত্রুঃ হিন্দু-মুসলিম
বৈশাখ আসলে দু,পরিবারের পিঠা রান্না হত এক উনোনে
বিপদে একে ছিলাম অন্যের জন্য উৎসর্গীকৃত।
আমার কষ্টে যারা হয় ব্যাথিত,আনন্দে হয় সঙ্গী
ভালোবাসা উজার করে দেয় ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে ,
তারা কি করে হয় পরম শত্রু,ঘৃণীত !।
কাকেরা আসলো কুকিলের ভেসে,গাইলো অচেনা এক গান
বিদ্রোহের গান ,যুদ্ধের গান,বিচ্ছেদের গান,
‘ আমি মুসলমান-তুমি হিন্দু,আমি হিন্দু-তুমি মুসলমান '।