বহুকাল! সন্ধ্যাকাশের তারা গুনা হয়না
আজমন্দ আলীর পুতি পাঠের সেকি করুণ সুর,
পুকুরঘাটে ল্যাম্পের আলোতে চাল কোঠার ডকডক শব্দ।
বহুকাল! অন্ধকারে এ বাড়ি থেকে ও বাড়ি;
লোকুচুরি খেলা,কখনোবা আমচুরি,ডাবচুরি।
বিছানায় দলবদ্ধ হয়ে ভাইবোনদের চুর-পুলিশ খেলা
মায়ের হাতের বাহারি পিঠা,খাঁটি ঘিয়ের সাথে গরম পিঠা!
বহুকাল! বাবার কড়া ধমকে ভীতসন্ত্রস্থ:
‘পড়াশোনার বালাই নেই, দিন-রাত শুধু খেলাধোলা?’
ইশার আজানে হৃদয় হত ক্রন্দিত,অনুতপ্ত
যেন অকৃত্রিম কোন প্রেমময়ী বন্ধুর আহবান।
বহুকাল! গভীর রাতে শেয়ালের শোকার্ত কান্নার আওয়াজ
কারা যেন উঠোন দিয়ে হেটে গেল নিঃশব্দে ।
অচেনা গাড়ি চলে যায় নিশ্চুপে -
একদা সে হারিয়ে যায় প্রকৃতির কোলে।
বহুকাল! ‘শৈশব’ তোমাকে দেখিনা
দূর তারার ন্যায় উঁকি দাও কল্পনায়।
কোন এক সন্ধ্যাতারায়,তুমি কি আসবে ক্ষণিকের তরে
বহু মান-অভিমান,গল্প যে জমা স্তুপাকারে।