-তোমাকে দেখেই মনে হয়
কিছু একটা ভর করেছে তোমার উপর।
আশ্চর্য!
সব সময়ই একই রকম থাকো;
কি ভাববে বলোতো লোকে?
নিজেকে ফুটিয়ে তোলো
শুধু নিজস্ব স্ফুর্তি দিয়ে।
এই ধরো...............
রূপালী বৃষ্টির মতো
শিশির ভেজা ঘাসের মতো
রক্তিম সূর্যের মতো
লতা, পাতা, প্রজাপতি ইত্যাদির মতো;
আবার মাঝে মাঝে নিরব নিস্তব্ধ পাহাড়ের মতো
অথবা রঙ্গিন রংধনুর মতো..............


-আচ্ছা! তোমার কি কোনো দয়ামায়া নেই?
কেন শুধু শুধু আমার নিজস্বতায় আঘাত করো?
আমারও তো মন আছে
স্বকিয়তা আছে
তবে কেন এই মিথ্যা আলপনা আঁকবো?
তুমি বললে রূপালী বৃষ্টির কথা
কিন্তু তুমি কি জনো কান্নার রূপও রূপালী?
আবার বললে শিশির ভেজা ঘাসের কথা
সে তো নিরবতার প্রতিক।
এই যে বললে রক্তিম সূর্য
এ তো যেন রক্তমাখা একটা হৃদয়;
আর নিস্তব্ধ পাহাড়ের কথা বলেছো যে
সে তো একটা ভাঙ্গা মানুষের গল্প।
সবশেষে বললে রংধনু
সে হলো অধিক দুঃখের পর ক্ষণিক সুখ।


-একি বললে তুমি!
এটা তোমার মোটেও ঠিক হয়নি
সম্পুর্ণ মুডটাই নষ্ট করে দিলে।
আমি বললাম শিশিরের কথা
বৃষ্টির কথা
রংধনুর কথা
পাহাড়ের কথা
প্রজাপতির কথা;
আর তুমি?
তুমি কি না শুনিয়ে দিলে রক্ত, দুঃখ, কান্না
আর ভাঙ্গা মানুষের গল্প?!
না, না, না!
এটা তোমার মোটেও ঠিক হয়নি।


-হুম।
আমরা একে অপরের সঙ্গ দেবার বন্ধনে
সঙ্গি হয়েছি ঠিকই
কিন্তু রয়ে গিয়েছে একটা তফাৎ,
যেখানে তোমার বিচরণ
সেখানে আমি নেই
আর যেথানে আমার অবস্থান
সেখানে তুমি নেই।