এমনই এক বরষা মুখর রাতে
ভাতের গন্ধ ছড়িয়ে চারিপাশে,
হাত রেখেছিল সে আমার হাতে
ফসলের সৌরভ লেগেছিল বাতাসে।


খিদের যন্ত্রণা কে দিয়েছিলাম আড়ি
বিজলী চমকে আলোয় ভরেছিল ঘর,
অভাগার ঘরে খুশির বাড়াবাড়ি
লাঙ্গলের ফলা দিয়েছিল তার গুনের আকর।


রাজপ্রাসাদের চেয়ে বড়ো ছিল সেদিন কুঁড়েঘর
খেতের ফসল উঠেছিল উঠানে সেদিন,
হাত রেখে হাতে তোমার কাছে চেয়েছিলাম বর
চিরকাল যেন এভাবেই থাকে জীবন রঙিন।


ভেসেছিল মাঠ ঘাট সবকিছু সেদিন বর্ষাতে,
গরুগুলো বারবার ডাক ছিল গোয়ালঘর থেকে,
তার কপালে এঁকেছিলাম রূপকথার মানচিত্র,
সে গিয়েছিল তার স্মৃতি টুকু গচ্ছিত রেখে।


তারপর একরাতে কালো চারিদিকে ছড়ানো,
লুঠ করে নিয়ে গেলো সবকিছু জোতদারের লোকজন,
ফসলের গন্ধ উঠোন থেকে সরে সরে গেলো চলে,
খিদের যন্ত্রনার অজ্ঞাতবাস শেষে হলো আগমন।


কিছুদিন পরে নিয়ে গেলো তারা, ভালবাসা টুকু কেড়ে,
গোলাপের পাপড়ি টুকরো করে ছিঁড়ে ফেলে দিলো,
শেয়াল কুকুরে খেয়ে গেলো, না রেখে অবশিষ্ট,
ভালবাসা আর ভাতের গন্ধ মিলেমিশে মুছে গেলো।