বারবার হেরে যেতে যেতে, মার খেতে খেতে
যখন মনে হয় সব শেষ, অন্ধকার পৃথিবী,
নক্ষত্রের মতো জ্বলে থাকে ভবিষ্যৎ,
অতীতটা মিথ্যা হওয়ার যন্ত্রনা নিয়ে মন
বেঁচে থাকা এক অলীক জীবনের সাক্ষী,
চেতনা তখন বারংবার জেগে ওঠে,
কাল্পনিক সভ্যতা বানায় অপরাধী,
দীঘির জলের নিশ্চুপ রাত্রি যাপন,
জেগে থাকে প্রাণ, জলের তলায় বিচলিত,
হাসির কলরব ভেসে আসে নগরীর প্রান্তে,
প্রান্তীক গোপন জীবন খোঁজে বাঁচার রসদ,
একদিকে অবুঝ অহংকার সুখের নেশায় মত্ত,
আঁচ পায়না আগুনের নিকট অগ্রসর,
তখনই, জ্বলে গিয়ে মরমে, ভেসে যাওয়া প্রাণ
করে উঠে ফিরে আসার আর্তনাদ,
খুঁজে পায় সংঘাতের মন্ত্র, শেষ প্রান্তে এসে
হাত বাড়ায় ফিরে পেতে ন্যায্য অধিকার,
জানায় মুক্ত কন্ঠে, ভিক্ষা নয় অধিকার চাই,
কেঁপে ওঠে কঠিন প্রাসাদ, পাথরের ভিত নড়ে,
যাকে দুর্বল ভেবে পরিহার করেছিল একদিন ,
সেই তখন গলা টিপে লুকোনো হিসাব খোঁজে,
হিংস্র দাঁত বিপদের মুখে, মলিন হাসিতে মেলায়,
অপেক্ষা করে ভালো মানুষের সারল্যের তরে,
শান দেওয়া ছুরি, পিঠে কোপ বসানোর আশায়।