মৃত্যুর বাপাশের গলি দিয়ে কবিতায় এসে যখন পৌঁছালাম
অনেক সাহিত্য গবেষক তখন ছন্দের জল মেপে নিয়েছে।
আমার শেখা হয়নি বলে তোমার ঠোঁটের কিনারে
লেবুজলের ঘ্রাণ নিয়ে বসে থাকলাম করলার ধারে।
উপন্যাসের পান্ডুলিপিতে ঠিক করেছি
কিছু কবিতার আনাচকানাচ দিয়ে
এক কাব্য উপন্যাসের জন্ম দেবো কালোবেলায়।


কালো বেলা তো আজীবন চিঠির মতো
আমার নাভি উরু স্পর্শ করে
রক্তমনে দিয়েছে নীরব বানান বিচ্যুতি।


ছাদের উপরে আজ আবার শব্দ নামবে।
সে সব শব্দ নিয়ে এসে ভাতের হাড়িতে দিলেই
দেখব কাজের মাসি এসে বলছে,
দিদি এখনও হয়নি, বাসন মেজে টেন ধরতে হবে।


আমি বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করতে যাচ্ছিলাম
আজ তো কবিতাঘ্রাণ পার্বণ
আজ তো না লেখা কবিতার জল মেপে
ছড়িয়ে দেওয়া কষা মাংসের ঝোলে
কব্জি ডুবিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে হয়।


আজ বাসনে উল্কি ওঠে আলপনা ছন্দের।


তুমি বসো। পরের ট্রেনে বাড়ি যেও
আমি সুর তুলছি নিজ গোধূলির।
মানুষ আজও সেই সুরকে রবীন্দ্রগান বলে,
আমি বলি অমরত্ব।