তেহরান থেকে ফেরার পথে
পেস্তার ঘ্রাণে ভাসতে চাইনি।
শিল্পকলা, সৌন্দর্য্যের স্মৃতি সৌধ
আর তোমার চোখ
আমাকে ভাসিয়ে দিয়েছিল নাগরিক বিমানেও।
কিছুদিন আগে শুনলাম তুমি আফগানিস্থানে গেছিলে
এখন আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না তোমার।


ফেরার পরেও অনেকদিন ইতিহাসে ইরান
জাগিয়ে রেখেছিল তেহরানের স্মৃতিতে।
অণুস্মৃতিতে জেগে থাকা মাদকতার চোখ
ঠোঁটের কোণে নরম হাসি
ঐতিহাসিক এক রাজদরবারে দাঁড় করিয়েছে আমার অস্তিত্বকে বারে বারে।


জীবনানন্দের কবিতা
একবার শুনিয়েছিলাম অফিসে,
কেউ তখন বুঝতে পারেনি ভাটফুলের কথা।
কেবল তোমার চোখে জল
তুমি অভিভূত হয়েছিলে তেহরানি...


তোমার দেওয়া কাঁচের হুকো
সাজিয়ে রেখেছি আজও।
কেউ এলে দেখাই, তেহেরানের সময় ঘড়ি।
সকলে দেখে। বাহবা দেয়। চলে যায়।
আর
মনের ভিতর তুমি জেগে ওঠো আরব্য রজনীর মতোই।


কবিতার মতো, জীবনানন্দের মতো
তুমি রয়ে যাবে আমার কলমে
কোন এক সুখ উপন্যাসের কেন্দ্রিয় চরিত্র হয়ে
ইতিহাসের অপেক্ষায়।