এতক্ষণে পকেটে মেট্রোর কয়েনটা ফেলে হাল্কা হলাম।
উপন্যাস লিখতে বসলে এসবই পাখি হয়, অকৃত্রিম...


ভালোবাসার গল্পরা এভাবেই ভুল থেকে ঠিক খোঁজে—
তোমার অভিজ্ঞতার আন্ধা কানুনে।
এসো মন, সহজ করে কবিতার প্রথম লাইনটা লিখে
নৌকো বানিয়ে ভাসাই দামোদরে,
মিলেনিয়াম পার্কের কাছে তা ময়ূরপঙ্ক্ষী হবে।


মন, অর্জুনের স্ত্রী হলে বুঝবে বস্ত্রহরণের কনসেপ্টটাই অচল।
প্রতি নারীর মনই দ্রৌপদী আর দুর্গাকে চেনে।
‘উ’ কার দিয়ে একদিন না হয় দীর্ঘ চুমু খেলে আমার স্তবকে,
সেদিনকার বাচ্চা থেকে বড় হয়ে ওঠা পাঁচ মাথার মোড়ে নেতাজিকে
জিজ্ঞাসা করতে ইচ্ছা করে,
গড়িয়াহাটায় আজও উত্তম কুমার মারা যাওয়ার পরের ভিড় দাঁড়িয়ে...
কারফিউ কী এখনও নতুন ভারতের বাবরি মসজিদে!
এখনও নতুন কারখানার স্বপ্নরা গলিপথ খুঁজছে সমুদ্রের ভিড়ে।
বড্ড ঢেউ—এ শহরে। বড্ড কান্নার আয়না।
পুরুষ নারীর জ্বর হচ্ছে ভীষণ। মরসুমী সমস্ত সুখ।
আমি বরং কমলেশ পাল পড়ি, শান্তির বাথরুমে...
প্লিজ সমস্ত লেখাকে না বুঝে ভালোবেসো না, মন
একবার বলো—‘তোর কলমটায় গ্রিস মাখিয়ে ভাসা গাঙুরে।’


মৃত্যুর গলিপথে কবিতার অভ্যাসে, জীবনকে দেখা হয়নি...
ভালোবাসার চোখে অজস্র টর্নেডো লুকিয়ে
কবিতা জন্মাচ্ছে ঝড়ে, কলকাতার পরির নামটা অজানাই...