আকাশটা বড্ড নীল মেখেছে গ্রামের পথে।
রবীন্দ্রনাথের মতো একলা তালগাছ দেখলে
আমার সেল্ফি তুলতে মন চায় না।
এখানে জামাকাপড়ে ক্লাস ডিফারেন্স বড্ড ম্লান।
জমিদার না থাকলেও, বাড়ির পুজোতে
শুটিং সেড়ে খবরের চ্যানেল চলে গ্যাছে।


তবু ঐ সঞ্চালিকার হাসিমুখ,
ফেসবুকে রিকোয়েস্ট অ্যাক্সেপ্ট করা
আমার মনের ভিতর দাগ কেটেছে।


গ্রামের পুজোতে এখন ডিজিটালাইজেশন
লাইভ টেলিকাস্ট।
বেশ ভালোই লাগছে জীবনের সাথে সাথে
মনের পরিবর্তন।


গ্রাম কেমন বদলে যাচ্ছে পোস্ত বড়ায়।
থিম হয়ে উঠছে উইকয়েন্ড ট্রাভেল ডেস্টিনেশনে।
আমিও কাজ পাচ্ছি। গ্রামের পথে ইকোটুরিজম।
গ্রামের দুর্গা আর যাই করুক না কেন
দুর্গতিনাশিনী তো বটেই।


এতো ডিগ্রি নিয়েও যখন চাকরি পেলাম না
তখন দুর্গাপুজোর বনেদি বাড়ি ও নিউজ কাভারেজ
ট্রাভেলারদের চিনিয়ে দিলো দুদিনের ছুটি কাটানো।


অপেক্ষা ও ভয়
ব্যবসাদাররা আবার এই গ্রামে আসবে না তো!
আর ঐ সঞ্চালিকা আবার যদি আসে,
একবার যদি বলে, তুমি আমার সাথে শহরে চলো...