মৃত্যুর পাশে শুয়ে রেখে দিও।
অন্য জন্মে সরস্বতী বানান শিখে নেবো।
বাংলা শব্দের উচ্চারণ
এখনও ঠোঁটের কিনারে
উচ্চারিত হয় জার্ভেরা ফুলের মতো,
অতীতচারণে তোমার হলুদ শাড়ি
বিস্মৃত উজ্জ্বল রাতার কৃষ্ণচূড়া
বাড়ির সামনের পুকুর
সবই উঠে আসে।

এখন আমার ছাই
কী করতে চাও!
আমি বিখ্যাতদের মতোই
কবরে শুয়ে
এপিটাফে কাব্য রচনা করতে চেয়েছিলাম।

হলো কই!
এই ছাই এখন গঙ্গার সম্পদ।

এই বাংলা ভাষা, দূরত্ব তৈরির অজুহাত
কবিতার ডায়েরিগুলোতে
আর রোদ লাগবে না,

ভেসে যাবো মৃত্যুর মতো বাংলার জলে।
সরস্বতী পুজো শেষ হলে
অঞ্জলির মতো বুকটা ছ্যাক করে ওঠে...