এক.
আলতো করে তুলে আনা জলে--
একফালি চাঁদ বড্ড রুপালি
রুপালি শস্য রান্না করে দিতে বলায়
মা বলে উঠল -- ‘অভাগীর স্বর্গ’


দুই.
ইলিশ একবার জল থেকে উঠেই মারা যায়।
বিস্মিত জীবনও একটা কবিতা লিখবে,
তারপর সব ম্যাজিক।


তিন.
সাজিয়ে রাখা পাঠাগারের বইয়ের ভিতর
উঁইপোকা লুকিয়ে থাকে।
তুমি যখন শব্দস্বাদের বদলে খাদ্যস্বাদ নিচ্ছো
বিশ্বাস করো ওরাও ঈর্ষা করে।


চতুর্থ.
আরোগ্য জীবনের উন্নতি হয় পেটপুজোতে।
নষ্টসময়ের আধুনিকতায় আমিও
খুঁজে নিয়েছে নোনতা ও মিষ্ট জলের কান্নাগুলো।
সব কান্নায় বিষাদ থাকে না,
কিছু কান্নায় রূপোলি আচ্ছাদন...


পাঁচ.
কবিতার পিচ রাস্তায় স্বার্থ নয় লক্ষ্য লেগেছে
তাই দেশ ও ভাষার গায়ে ইলিশ আঘ্রাণ
সকলেই খেতে চায়, খাওয়াতে চায়
কেউ বাঁচাতে চায় না দেশ ও ইলিশকে...


ছয়.
প্রতি মরসুমে ইলিশ গঙ্গা আমায় বলে
ধ্রুবতারার দেশে এক পাগলও আছে
তুমি তার পাগলি হবে।
উত্তরে বার বার বলি ‘আমি নারী-পুরুষ নই
আমি মানুষ
পাগল-পাগলির ঘ্রাণ কেবল ইলিশই জানে...’


সাত.
যারা ইলিশ ঝুড়ি করে নিয়ে চলেছে
রাতের ক্লান্তিতে তারা মাতালের স্বাদ পায়।
আঙ্গিক বদলে যায় নারীর ক্ষেত্রেও।
সুন্দরী নারীরাও কাঁদছে
কিছু পুরুষ নারী শরীরে কেবলই...