বাঙালি অনেক না-পাওয়ার মন্ড। তাই কল্পতরু প্রেমকে পাশবালিশে উটের কাটার মতো খুঁজতেই কুট্টুস বলে উঠলো ‘কুই কুই।’ কথোপকথনে বসন্ত আসতেই কবিতা হচ্ছে বলে জয় নিতাই হতেই ধুপ করে নামল পকেটমার। ফেলে আসা স্মৃতিকে নিয়ে গেল ফুল বাগান, পাখিও আজ সেল্ফি ভুলে মেতেছে সাইবেরিয়াতে। আজব বাঙালি কবিতা খুঁজছে, অথচ নিজের সুন্দর জিহ্বাতে বাঁশি সুর তুলল না। পাশবালিশের স্বপ্ন-সুখী হারাধন নাগ চলল নিউ মার্কেটের ললনা সুখ খুঁজতে। শীতঘুমের সাপটা সূর্য না পেয়ে লিখলো— পিরামিড কথা রাখে না, মিউজিয়ামের সিসি টিভিতেই স্থান দিও ঈশ্বরকে। ঈশ্বরী তো মা, যে বীট গাজরের সুপে আলতো উজ্জীবন মিশিয়ে দ্যায়। রামকেষ্ট খ্রিষ্টকে আল্লার সাথে দেখা করাতেই জোট সরকার তৈরি হলো। কমলালেবুর মরশুমে তরমুজ খুঁজি না আর। ভেসে আসা পরাগধানী জানে আমিও তোমার ঠোঁটে ছিলাম প্রজাপতি...রূপান্তরিত ঠাকুর আজও মিলবে শিয়ালদা স্টেশনে পাগল চোখে...খুঁজে নাও মানুষ, চাকচিক্য বড্ড ক্লিশে...