‘খেলেই মরে যাবে’ বলে ফিরিওয়ালা চলে গেল ডাকঘরের খোঁজে।
দাঁড়িয়ে রইলাম একান্ত কুর্নিশের সিংহাসনে। সামগ্রিকতার অভিবাদনে।
মৃত্যুর কোন শ্মশান হয় না জেনেও পরের সপ্তাহে
আমায় কবিতা খুঁজতে যেতে হবে, অন্তরীক্ষে। যাবে প্রিয়—
এসো আজ তার জন্য গুটিয়ে রাখা আস্তিনে ঘাম জমিয়ে রাখি। তৃষ্ণার্তজীবী।


আমার দক্ষতার মূলে রক্ত কাজ করে। আমার মা-বাবার মুখ
ভেসে ওঠে রাতের কলকাতার নীল-সাদায়।
বিদ্যুতের বিল নিয়ে ভাবে না এসি সভ্যতা।
মুখ... মনের ভিতর মুখের আদল বদলে বদলে যাচ্ছে,
বড্ড অস্থির লাগছে, দক্ষতার আদিমতায়। কিচ্ছু ভালো লাগছে না।


আবার খুঁজলাম নাটোরের বনলতাকে, পাইনি, গড়িয়াহাটের মৃণালিনীকে
পাইনি, পাইনি, পাইনি।


আচ্ছা মন, তুমি কি এই শহরে নেই!
তুমি যেখানেই থাকো, ভালোবাসো, ফর গড সেক
একবার ভালোবাসো, ভালোবাসার অভাবে এ শহর শুকিয়ে যাচ্ছে,


ও, তুমি তো আমাকে বন্ধু ভেবেছ, ভালোবাসা নয়।
কিন্তু কী করব বলো, আজ আমার প্রেম পাচ্ছে। ভীষণ—
মৃত্যু কাহতক ভালো লাগে শিরা-উপশিরায়। কে চায় বলো ঝগড়া করতে!


তোমার ভূমিকাটুকু শুনতে চাই, আদিম গুহায় যা গেয়ে উঠেছিলে, আলতামিরে...