এখানে আদিগঙ্গা, দূষিত স্রোত—নাভিখন্ড ভেসেছে অনির্দিষ্টে।


দূর কাক, হবিষ্যিঘ্রাণে পিছিয়ে গিয়েছিল আমার শৈশবচোখে। অনন্তকাল। আমিও স্নিগ্ধ সে শরীর, সে মন বেয়ে আজ বায়বীয়।


দূর থেকে দূরবর্তী মন ছুটে এসেছিল। শেষ দেখা। হয়নি। তখন আর কী বা দেখবে।  আয়ুপথের এ সংগ্রামে বিপর্যস্তমাদকতায় আমি বড্ড নিঃস্ব। আধুনিকতায় একাকীত্বের আয়না। তবু সে রাগে, আত্মহারা হয়ে আমায় গালিও দিল, ‘দায়িত্ব নিতে হবে বলে পালিয়ে গেল...শয়তান, লজ্জা করে না...স্বার্থপর আমাকে ছেড়ে চলে গেলি...’ আমি তখন নীরবতায়। আমার জীবিত কষ্টরা কতটা কঠিন, কতটা অভিশপ্তআয়ু, কতটা লাঞ্ছিত এই বাংলা ভাষায়, বোঝাতে পারিনি বলেই, কাব্যবুকের কষ্ট নিয়ে বন্ধ করেছি হৃদপিন্ড। মৃত্যুপথের টানেলে আশ্চর্য শান্তি আছে, যে শান্তি অবর্ণণীয় গতিপথে খুঁজে পেয়েছি প্রথম কবিতা, যা এতকাল লেখা হয়নি।


কালো কাকের মধ্যে আমি নেই পৃথিবী। আমি আছি তোমাদের অন্তরে। স্বার্থহীন আমি আছি ভাষানগরের মাতাল ঢেউয়ে। ঢেউকে স্রোত ভেবে ভুল করা তোমরা ফিরে তাকিও, জ্যোৎস্নার দিকে।


দাহের পরে, মন তুমি ছাড়া আরও একজনই কেঁদেছিল। উনি আমায় ভালোবাসতো বলেই অনেক কিছু শিখিয়েছিল। মৃত্যুর পর যে কবিতা পেলাম তার নাম— মা।