পাগলিটা আজও বসে আছে।
অন্যদিনের মতো কিছুই আলাদা বোঝেনি,
শুভ নববর্ষ বলা হোয়াটস অ্যাপের দল
মাংস ভাত খাবে বলে প্রস্তুত, মধ্যবিত্ত।
সত্তর টাকা কেজি চালে আজ মধ্যবিত্ত,
নুন পান্তার মাঝেই আনন্দ
উৎসবের নগর ভ্রমণ জেগে।

ওদিকে পাগলি গন্ধ ময়লা কাপড়ে
বেশ ছিল।
পাড়ার একদল আজ ওকে স্নান করাবে
চুল কাটবে।
এদিকে আমরা তো নিজের বাড়িতে।
ভেবে নিচ্ছিল কেমন করে মিটিয়ে দেব
নিজেদের পুরোনো হিসাব।

নতুন কিছু খুঁজছি।
আরে সবাই তো লক্ষ্মীর ভান্ডারের সুখে সুখী নয়,
লাল কাস্তেরা অন্য কিছু চায়,
সাম্যবাদ নয়, হাসি দেখতে চায় পরবর্তী প্রজন্মে।
উন্নতি চায়।
সাদা নীলের উন্নতির আড়ালে দৈত্য রয়েছে,
সে বাগান পেরিয়ে আসতে পারলেই
নতুন বছর, নববর্ষ জেগে ওঠে।
তা স্পর্শ করতে পারলে,
পাগলি ও আমরা আলোময় হয়ে উঠব।

বেঁচে থাকি ভালোবাসার জন্য,
কাছের মানুষের জন্য।

নতুন এক ভোর, সমুদ্র উচ্ছ্বাস, ভেসে চলা
উড়ে যাওয়া পাহাড়িয়া বনজঙ্গলের অচেনা ঝরনায়।

মরুভূমির শহর ভেদ করতে পারলেই শান্তি,
পাগলি সহ আমরা শান্তি চাই
মোহ ধর্ম পেরিয়ে শান্তি চাই।

মানুষের শান্তি চাই,
মানুষের ধর্মে বাঁচতে চাই।

বাকী তো রাজনৈতিক ভোটলোভ,
নববর্ষের দিনেও
বড্ড ক্লান্ত আমার কলকাতা,
বড্ড ক্লিশে।

পাগলিটা হাসছে, পাগলিটা হাসে
আমরা শুধু বুঝতে পারি না,
কান্নার মতো হাসছে, হাসার মতো কাঁদছে,
১৪৩২ দাঁড়িয়ে রয়েছে দোদুল্যমান।
শুধু একা হয়ে রয়েছে নববর্ষের দিন, অছিলায়।