এসো জল ভরা ক্ষেতের ধারে কাঁদি দু-এক গোছা ধানে।
আলুর সংসারে এ বছর শিলা বৃষ্টির অভিশাপ,
এসব কুড়িয়ে নিয়ে উপন্যাসের চুলে গুজে দিলেই
গল্প লেখার গান তৈরি হয়, বেহস্তের প্রাঙ্গণে।
কবিতা উৎসবের রবীন্দ্রনাথ নৌকাবিহারে আজন্মকাল
যা খুঁজতে চায়নি, সেই পর্দামাখানো ধর্ষিত প্রকৃতিকে—
দেখছি,
আমি আর তুমি, এই ঝড় তান্ডবের শহুরে মোবাইলে...


প্রকৃতিকে অবহেলা করি নারীর মতোই। নারীকে পণ্য ভেবে
কাঁদিয়ে চলি মা-জাতিকে। ভুল স্বরের নিখুঁত সুরে।
সে সব চাপা কান্নারা আর্তনাদের কালবৈশাখী হয়েছে
বসন্তের প্রেম কাহিনিতে। এসো ধীরে তুলে নিয়ে যাও
আলতো করে প্রেম। প্রেম বড্ড দামী। পলাশকে বলো
অন্য বসন্তে প্রাচীন শব্দের দুখজাগানিয়া হবো।
কৃষ্ণ হেঁটে আসবে পাইড পাইপারের সুরে
সমাজ তখন কবিতা নগরের ভীত স্থাপন করছে—
আরোগ্যবাংলায়।