যা বলতে পারি না,
তা তো কেবল কবিতা।
সবাই যেমন ছেড়ে গেছে,
ঠিক তেমনই তুমিও ছেড়ে যাবে
বা আমি যা চাই, তা পাবো না খুঁজে।
আসলে আমি যা চাই তা ব্যতিক্রমী।


তোমার ভিতরে ছিল সেই ব্যতিক্রমী চেতনা
কিন্তু আজ সব কেমন যেন ক্লান্তি গ্রাস করেছে।


কারণ পিরামিডের ভিতরে আমি
হারিয়ে গেছি।
ফ্যারাও না, আমি তো কর্মী। তাই বুঝতেই পারিনি।
আমার মৃত্যুও মানুষ বুঝতে পারে।
ধীরে ধীরে, আস্তে আস্তে
তবু হাসিঠাট্টা চলে,
ধীরে ধীরে, মুক্ত হয় জীবনের রঙ্গমঞ্চে
মাঝে মাঝে লোক ধরে কাজ মিটিয়ে নেয়
সেই স্বপ্ন, বেঁচে ওঠে পরগাছার মতো
তারপর ধীরে ধীরে, আস্তে আস্তে
সমস্ত আকাশ জুড়ে নতুন এক ভাবনার বেড়াজাল
গ্রাস করতে থাকে আমায়।


এভাবে পরগাছা হয়ে উঠবে বৃক্ষ,
বেছে নেবে নেশা করা,
মা বাবার সাথে ঝগড়া করা
এসব তো ভাবিনি।


আসলে কবিতা তো না-কবিতাও হয়।


প্রকাশিত হয় নাগরিক জীবনের রহস্য।
মুক্ত হয় দীর্ঘমেয়াদী,
এক চিন্তা শুধুমাত্র আমার
কেবল আমার হবে বলেই - সেই
ধৃতরাষ্ট্রের চোখ নেই।
চোখ নেই ভীষ্মের ইচ্ছামৃত্যুর।
আছে শুধু এক রাশ কোলাহল
আছে বেঁচে থাকার নাগরিকত্ব।
চলতে থাকা নগরজীবনের
স্নিগ্ধতাময় অনুভূতি


যা আমায়, আমার থেকে মুক্তি দেয়।
কবিতারই নেশার মতো