(১)
আসল নকল বুঝতে গেলে ইগো ফেলে দিতে হবে,
নিষ্ঠা ভরে কুঁড়ে কুঁড়ে খাওয়া রাজনীতি দূরে ঠেলে
মানুষ হতে হবে।
নিজেকে দোষ দিতে হবে,
অন্যের ভুল দেখিয়ে চললে হবে না
তোমরা ভাবতেই পারো এটা জ্ঞান
কিন্তু আমি মনে করি এটাই জীবনস্রোতের অঙ্গীকার।


(২)
খুঁজে চলেছি যে তারা
সে তারা কবেই তো বাসা বেঁধেছে
আমার জামরুল গাছে।
আমার চোখ নেই, মানে মানুষের চোখ
যে সেই চেতনা বুঝতে পারব।
কারণ সেই ভাবনা বড় অবিকল
আমার একার মতো রয়ে যায়
আস্তে আস্তে, ধীরে ধীরে।
নাগরিকত্ব বড় প্রয়োজন, বিশ্ববাসী হওয়ার
গন্ডি, বেড়াজাল- বাঙালি করতে পারবে না কখনও
কোনদিন।
আসল নকল তাই থেকে যাবে আড়ালে


(৩)
মানুষের সম্পর্ক চিরকালীন থেকে যায়
থেকে যায় জীবনের অনন্য এক অনুভূতি,
এই ইগো কোথায় চলে যায়,
জলের মতন,
তা বুঝতে হবে।
আসল নকল মুখোশের আড়ালে নোখ দাঁত চিনতে গেলে
অপেক্ষা করতে হবে আরও অনেকটা কাল
কিন্তু যাঁরা ছদ্মবেশি, গিরগিটি, তারা তো অবিকল
এক থেকে যায়।
তারা চিরটাকাল এক থেকে যায়।
তারা যে ইগো ঝেড়ে ফেলে না।
তারা সম্পর্ক চেনে না।
তারা রাজনীতি খোঁজে, সরলতার।
ধীরে ধীরে, আস্তে আস্তে।


(৪)
যে অসুখ সমাজের
তা তো ছোয়াচে হবেই।
কারণ সেই ছোঁয়া, আমাদের সমাজকে
বাঙালিকে বিপদগ্রস্থ করে তোলে
মহামারির মতো ছড়িয়ে পরে
আস্তে আস্তে, ধীরে ধীরে।
নকল-আসল, সহজ-কঠিন পেরিয়ে
নতুন এক আসল নকল
গড়ব বলে এক নতুন ভাবনা।
বাংলা ভাষার উন্নতির পথে যারা বাঁধা,
তাদের করি ধীক্কার।


(৫)
অস্থিত্ব আর কাঁদাতে পারে না,
কারণ তা বড়ই একার
একান্ত আপন।
তবু যা থেকে যায়,
তা তো স্মৃতি
আসল নকল চিন্তে শেখার স্মৃতি।


ভাবতেও পারিনি তা এতো দ্রুত ..
প্রকাশিত হবে
আমার প্রতিচ্ছবিতে
এইভাবে আত্মগরিমায়


ধীক দিতে পারতাম,
কিন্তু কেন দেব নিজেকে
এতটা বাহবা।
আমিও তো আমার থেকে বেরিয়ে
নকল আসলের আড়ালে
হারিয়ে গেছি
সমাজের রাজ নীতিতে
তাই এই পাহাড়, সমুদ্র – আকাশ
আমার আর একার নয়, সবার
শুধু আসল নকল
এক অভাবনীয় চেতনা


তবে আমি শুধু আসলটুকু পান করবো
প্রত্যহ
আর যা নকল তা তো
আমার কবিতার মতো বহমান কাল ধরে
বয়ে যাবে মোহনার দিকে
জীবনের শেষে
নকল আসলের লাশ কাটা ঘর, কবর বা ইলেক্ট্রিক চুল্লিতে