এই জীবনে কেও বাচতে নাই বা চায়
তবু এই জীবনী বেচে থাকার রসদ যোগায়।
জীবন-ই জীবনকে মায়া মমতার বাধে,
জীবন-ই জীবনের ভালবাসায় কাঁদে।
সত্যিই তো জীবন হল শৈশবে
মায়ের স্নেহের ছায়ায় হাসা দেওয়া, হাটতে শেখা –
তারপর মাতিয়ে রাখা শুধু কলরবে
যৌবনের পায়ে পায়ে পৃথিবীকে দেখা।
দেখা পাওয়া যায় না তার –
যাকে নিয়ে ভেবেছিলেম যৌবনে,
কেশর কালে সে আসে,
জীবনকে নিয়ে চলে – মনে হয় এ জীবন কার।
জীবন কাটে ছোট্ট ছোট্ট নরম রাতের ছোয়ায়
সেই নরম চাহুনি, আদ্ আদ্ কথা,
নতুন অনুভূতি মনে হয়
কোথায় চলে যায় জীবনের সেসব ব্যথা।
সন্তানের মধ্যে দিয়ে নিজেকে খুজে পাওয়া
সেই জেদ্, হাসি কান্না, পড়াশুনো বিনা পাড়ার রকে –
সময় কাটানো, তাদের পিছনে সিটি দেওয়া,
এ যেন সময়ের হাওয়া।
মা ছেলেকে ঠিক করার তাগিদে পাঠায় বোর্ডিয়ে বকে,
মা জানে ছেলের কোথায় কখন কি হবে,
তাইতো হঠাত্ একদিন হাজির হল সঙ্গে ওটা কে –
এটাই ট্রাডিশান, পড়া শেষে বিবাহের স্লোগান
‘ওকে চাই আমার’ বলেই ছেলে খালাস,
বাবা হওয়া ছেলে, ছেলের ভুল বুঝতে পারে
ভেঙ্গে যায় গেলাস।
কাচের তৈরি ঘর কখনই কি টিকে থাকে
ছেলে জানায় কালই বিয়ে মাকে
মা বলে চলে যা, বাবা তাকেয় ক্লান্ত বিষাদের চোখে
ছেলেকে বুকে টেনে অভিবাদন জানায়
এবার নিয়ে আয় ঘরের লক্ষ্মীকে।
বার্দ্ধ্যকে উপনিত হয়ে করল প্রয়াস,
আত্মহত্যা না নাতিকে নিয়ে কেটে যায় বারো মাস।
তবু জীবনের মেটে না আঁশ।
মনে হল বেচে থাকি, জীবনকে জানি।
প্রদীপের তেল যে শেষের পথে
ছেলে বলে মা গত হওয়ার পর, বাবাকে পাঠাব বৃদ্ধাশ্রমে।
পিতা কয় পুত্রকে জড়িয়ে ধরে
আমার মতনই কর্ম করে
নাতিকে দিস্নে রক্ত ভরে
ঘৃণা, লাঞ্ছনা, গর্বান্ধতা,
নাতিকে দিবি শুধু জীবনের কবিতা।
জীবন মানে যে অন্য,
ঈশ্বর পাঠিয়েছে – আমরা যে নগ্ন্য
আমরা পারি জীবনকে নতুন করে দেখতে
আকাশ বাতাসে পাখিদের কলরবে
নিজেদের জীবনকে ফিরে পেতে।