তোমার সেই বনজ আবেদন
তোমার সেই উন্মাদনা
তোমার সেই আত্মজ নিবেদন
চোখের ঐশ্বর্য প্রেরণা
আমার সাত জন্মের অতৃপ্ততাকে মিটিয়ে দিয়েছে।
আমাকে তোমার কাছে সময় কুয়াশা টেনে নিয়েছে।


মৃত্যুর বিভীষিকাময় সতেজ আমি
তোমাকে পেয়ে পরিপূর্ণ, পরিতৃপ্ত।
তোমার চক্ষু ইশারাই দিয়েছে আমায়
অস্তিত্ব
নির্মম যে অস্তিত্ব
বৃক্ষ ছায়া, বনজ গন্ধ, সেঁদো ধুলোর শীত
স্বর করেছে উষ্ণ
উষ্ণতার আমাকে দিয়েছে
চরম অন্তিম .....


তুমি আর আমি
হেঁটে চলেছি বনলতা, অনন্ত পথ ধরে
সুচেতনার আঙ্গিকে
একটু একটু করে জীবনের না পাওয়াকে
ভুলব বলে
আকাশ পারে।
দিনের শেষে
শব্দে নিশব্দে কেটে যাওয়া সময়ে
তোমার কাছাকাছি
আমি পেয়েছি জীবনের শক্তি।
জীবনের অন্তিম-মনের মণিকোঠার প্রেম।


অন্ধকারে বাতি, তারার দলে চন্দ্রিমা হাসি
কুলুকুলু জলজ বাতাস
জোনাকির মুখ লুকিয়ে হাঁসা
তোমার সাথে তখন অনন্য এক মুহুর্ত।
মুহুর্ত শেষে
তোমার সাথে – আদিম ছন্দের ভাষায়
জীবনকে ফিরে পাওয়াতেই
আমার মুক্তি, তোমার হৃদয়ে।