সময় মানুষকে শেখায় স্বপ্ন দেখতে
মানুষকে শেখায় ভেঙে দিতে আয়না,
যেভাবে দ্রৌপদি, বাধ্য হয়েছিল মেনে নিতে
...মেনে নিতে পঞ্চস্বামীকে।
তাহলে সেও কি ঠকেছিল...
জানি না,
সমাজের বেড়াজালে সমস্ত নারীকেই কেন.. বারবার
কেন compromise করতে হবে?
কেন নারীই হয়ে উঠবে না নতুন মহাভারতের নায়ক
কেন নায়কের মতো সীতা এগিয়ে আসবে না...


আসলে সকলের ভিতর
যে নারী সত্ত্বা থাকে
সকলের অন্তরের নাভীপদ্মে মায়ের যে টান থাকে
তা তো ধর্ষিত হয় রোজ,
ঠকতে ঠকতে নারীরা
কাঁদতে ভুলে যায়,
ভুলে যায় কিভাবে নতুন করে
আলোর দিশা পাবে খুঁজে।


খুঁজে পায় হয়তো অন্ধ গলি, সহজে...
সহজেই পায় নিদারুণ ক্লেশ
অনুভূতিহীন এক ভাবনা
ভাবনার গভীরে লুকিয়ে থাকা
রোজকার বিছানা এলোমেলো চাঁদর...
পায়না শান্তি, পায়না স্বপ্নপূরণের অঙ্গিকার।
আসলে নারীদের ব্যবহার করতে জানে পুরুষ
কিন্তু, সম্মান করতে জানে না পুরুষ।


কতটা অদ্ভুত লাগে
তা মেয়েরাই জানে।
যে জন্ম দেয়, যে সাহচর্যে বড় করে
যে ভাবতে শেখায়-এটাই জীবন
পরিবার যাপনের অমোঘ বাণী।
আবেশ, অনুভূতি, অভিলাষের জন্য
অপেক্ষা করে নারী।
নারীর আঁচলের খুঁটে বাধা থাকে
পঞ্চপ্রদীপের আর্শীবাদ।
কে এই আবেশকে ধাত্রী বলবে!
কে বলবে নারী তুমি অগ্নিকন্যা,
কে বলবে বারুদকন্যা তুমি...
শুধু মাদুগ্গার কাছে মাথা নোয়ানো..
আর বাড়িতে ধরে বৌ-কে মার..
এই সভ্যতার অসুখের অসুধ নারীর কাছেই রয়েছে।


তাই তোমরা নারী পুরুষের ভাল কথায় ভুলবে না।
ভুলবে না, পুরুষরা ঘৃণ্য, নগ্ন,
শুধু নিজেরটুকু বুঝে, স্বার্থসিদ্ধি করতে চায়,
চায় না কেবল নারীর অশ্রুকে সম্মান দিতে।
ওসব তো নীতি কথা, ছেঁদো কথা।
ওসব বইতে ভাল লাগে
বাস্তবে নয়।


বাস্তবে পুরুষ
বিজ্ঞাপনে, সিনেমায়, নাচে, গানে
মেয়েদের শরীরকে Use করবে আর....
যে মুনাফা পায়, তা কি কেবল মুনাফাই..
আরশিতে দেখো তো একবার পুরুষ
তোমার মা - কি এমন দোষ করেছে।
মাতৃক্রোড়ে যে নারী তোমার কান্না থামিয়েছে
তাকেই তুমি খেলনা ভাবছো..
ভুল করছো - ভালই করছো...
পুরুষ ভেবো না নারীরা অবোধ, নরম
সেও জাগবে এবার
আর ঠোকবে না।
আর বলবে না – শুধু আইনি লড়াই নয়
ভষ্ম করবে তোমাদের পুরুষ,
তোমাদের লোভলালসাতেই।
পুরুষ দেখছো ঐ আকাশের সুদূর কোণে
তোমার সন্তান ডাঁকছে
বলছে বাবা ধর্ষণ যদি করতে হয়
আমাকে করো অন্যের মেয়েকে নয়।
আমি তোমার ঔরসজাত সন্তান হয়েই
তোমার নরখাদকতা দেখব।
আসলে পুরুষ তোমরা শুধু যৌনতা বোঝো
ভালবাসা নয়।
পুরুষ – তাই তোমরাই পিছিয়ে যাবে সমাজে,
মেধাবৃত্তিতে সোনিয়া,কল্পনা চাওলারাই এগোবে।
কারণ দ্রৌপোদির পাশে স্বয়ং ভগবান কৃষ্ণ
শাড়ী সাপ্লাই দিতেই আসেনি
এসেছিল - পুরুষের পর্দা সরাতে।
প্রতিটি পুরুষের ভিতরে দুর্যোধনের পর্দা
সেটাই সরাতে চেয়েছিল।
দ্রৌপোদিকে উপভোগ করতে না।


হয়তো পারেনি সময়, কিন্তু কলির শেষে
এবার কিছু একটা হবেই।
আর কেউ নারীকে ঠকাতে পারবে না।
কারণ তারা আজ পুরুষের ভন্ডামো, কলা কৌশল, চাতুর্য জানে
আর জানে পুরুষের নির্বুদ্ধিতা।


তাই চুপিচুপি পুরুষও জানে
তারাই এখন শুধুমাত্র নারীর হাতে খেলনা...