কেই চায়না একটি নারী
মাথা তুলে দাড়াক,
দৃপ্ত কন্ঠে, নিজের অধিকার
প্রতিষ্ঠা করুক।
কেই চায়না, অনেক নারী
সঙ্ঘবদ্ধ হোক,
মুখ খুলে বলতে শিখুক
ভালবাসার কথা।
আসলে সমাজটা পুরুষতান্ত্রিক
আসলে সমাজটার মাথায় ঘৃণ্য চক্রান্ত।
২০১৪ তে একটি ছেলেকে দেখাতে পারবে—
যে নিজের পৌরুষ চাপিয়ে দিতে চায়না...
দেখাতে পারবে একটি ছেলেকে
যে মা, বোন, স্ত্রী, নারীকে সম্মান করে মাতৃমূর্তির মতন
পারবে না।
পুরুষ শুধু ব্যবহার করতে জানে
না পেলে মারতে জানে,
মনে করে নারীরা সন্তান তৈরি ও সংসার চালাবার যন্ত্র।
আসলে পুরুষ নারীর আঁচল, নম্রতা, ভদ্রতাটুকুই দেখেছে-
কারণ পুরুষের সেই পরশুরামের মতন পৌরুষত্ব
আজ বিলোপ পেয়েছে।
সেই বীর্যের স্থবিরতায় আটকে গেছে।


তবে দেবী শক্তি যেভাবে জেগেছিল
ঠিক সেই ভাবেই জাগবে
আবার
যে সমস্ত পুরুষরা চায়না....
তাদের চোখে আঙুল দাদা- মতোই
অগ্নিকন্যারা এবার জানাবে
এই দুনিয়াকে
আস্তে আস্তে
নিশ্চুপে।
সময় এসেছে পুরুষের ভন্ডামোর প্রতি
সোচ্চার প্রতিবাদের
এবার সময় নারীতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার।
এবার হয়তো নিবেদিতা, মাদার টেরেসা, মা সারদা-র
পুর্ণজন্ম নেওয়ার সময়
এবার মুক্তির আলোকে পূর্ণতা পাবে বিশ্ব
তবেই তো ধরিত্রীর যে অতিরিক্ত উত্তাপ
তা কমবে, আস্তে আস্তে
কারণ আমার ধরিত্রীও যে আমার মা, আমাদের মা।