লঞ্চ তখন চলেছে
এক ঘাট পেরিয়ে অন্য ঘাটে,
আমি আর তুঁই দাড়িয়ে রয়েছি,
এলো চুল উড়ছে হাওয়ায়
মাঝে মাঝে দূর থেকে
ভেসে আসছে কারখানার আওয়াজ
জ্বলছে সার্চ লাইট।


তুঁই বলছিস
এই স্নিগ্ধ বাতাসে থাকবি
আর ফিরবি না ঘরে
সংসারের বাধন যে ছিন্ন হবে
এই ক্ষণে।
কিন্তু গন্তব্য আসে,
আমাদের নেমে যেতে হয়।
ধীরে ধীরে।
আসতে আসতে।


একটি উপলব্ধি, একটি জীবনস্মৃতি
চাপ থেকে মুক্তো হওয়ার উপায়
খুঁজে পাই – পাগলি তোর জন্য।
আবার আসব এই লঞ্চ স্টিমারে ভেসে
আবার সন্ধ্যার তিলোত্তমা কলকাতা, হাওড়ার ব্রিজ
আলো, মায়া সব দেখব
তোর সাথে।
এ স্বপ্ন নয় বাস্তব।
এখন বাস্তব আর স্বপ্ন মিলেমিশে একাকার....


অনেকেই এসেছে
অনেকেই এসেছে আগে ও পরেও আসবে
তোমার মতো এই আত্মনিবেদন
তোমার মতো বিশ্বাসের আধার
নিস্বার্থ এক আশ্রয় খুঁজতে চাওয়া
এক ভ্রাম্যমান জীবনের স্থবিরতা পাওয়া,
এ আর পাব না।
আমার বুকে মাথা রাখা,
আমায় জড়িয়ে কান্না থেকে মুক্তি পাওয়া,
এসব তোমার দরকার নেই
Bcoz  I know u r stronger than me
यो लोग नेहि सामझ पाइगा
তবু বলি এটাই জীবন
আমি থাকি, না থাকি
সর্বদা বলবে চরৈবতি, চরৈবতি....