(১)
মানুষ যখন বুঝতেই পারে,
কিছু হতে চলেছে
নিশ্চুপে আঙ্গিক তখন পরিবর্তিত হয়ে
নতুন মোড়ক গভীর চিন্তা
রেষারেষি, হিসাবহীন ভাললাগা
কেমন যেন ভালবাসার অস্তিত্বকে
স্থান দিতে শুরু করে।
অচিরেই, নগরায়ণ গ্রাস করে নাগরিকত্বকে।
লাল গ্লাস, নিট, পাইক সব নয়,
ওটা তো জীবন্ত হওয়ার হাতছানি,
আসলে জীবন তো মানুষই পায়
অন্যরকম অনুভূতিতে।
যখন মানবিক স্পর্শ পায়,
যখন ভাবতে শেখে নিজের অন্তরকে নিয়ে
অদ্ভুদ এক আলোকময় স্নিগ্ধতা
ছড়িয়ে পরে।


(২)
ঐ যে দূরের সবুজ আলপথ
ঐ যে দূরের শিরিশ গাছ
হেঁটে চলার আদিম অকৃত্রিম অঙ্গিকার
সেই পথ ধরেই আমরা সকলে
চলেছি আবার।
অনেকটা পথ চলেছি আবার।
অনন্ত সেই অনুভূতির-
স্বপ্ন তো আসে মাঝে মাঝেই,
কেউ তা দেখতে পায়,
আবার কেউ পায় না।


(৩)
অস্তিত্ব আর বেড়াজাল
মাঝেমধ্যেই আমায় নাড়া দেয়
বলতে চেষ্টা করে
মানুষ হতে পারছো না, রোজ
মিথ্যার আলেখ্য জড়িয়ে ধরছো
রোজ আপোষ করছো তুমি।
অপরূপ লাগে আনন্দ।
ভাললাগে ভাললাগার সময়টা
স্নিগ্ধতার পবিত্রতা ছড়িয়ে পরে
আর আসতে আসতে আমার আবেশ
টেনে নিয়ে যায়।
তাই না জানি আমার বোধ
কিভাবে পাল্টে যায়।
কিভাবে নতুন তোমরা তুমি
হয়ে যাও।
তবু দিনান্তে, অসম্ভব এক আলিঙ্গন
মানুষ হিসাবে তুলসী পাতা চোখে
জড়িয়ে ধরে।
আসলে আত্মা অবিনশ্বর।
তার যা চাই সে তো তা
খুঁজে নেবেই।
সে তো ভাবতেই পারে,
এভাবে সমস্ত বিশ্ব মানুষ হবে
মানুষের পরে।