জানি না এই পৃথিবী আজও কি চায়,
রক্ষকই ভক্ষক-সে তো ছোট থেকেই জানি,
কেউ কেউ মানি।
তবে, এখন সময়টা বড় কঠিন।
শক্তি প্রদর্শন চলছে।
চলছে মার-পিটের চরম নিদর্শন।
শাসকের সাথে কেউ পেরে উঠতে পারে না।
পারবেও না।


একটি মানুষ দোষ করলে শাস্তি হবে,
তবে তাকে ধরতে পারছে না, শাসক-পুলিশ।
তাই পুলিশ অত্যাচার করছে তার বাড়ির আত্মীয়দের।
অত্যাচার!
নারকীয় ভাবে নারীকে বেআব্রু করে
আঙুল ভেঙে দিয়েছে, বিচুটি পাতা গায়ে ঘষা হল
ধর্ষণ শব্দও লজ্জা পাবে এখানে।
আর যারা বুদ্ধিজীবি বলে কলার উচিয়ে শাসকের অর্থ চেটেছে
তারা এখন স্পিকটি নট।
হাসি আর পায় না, কারণ সবাই মুখে বড় কথা বলে-
আর নিজের আখিরটুকু গুছিয়ে নেয়।


তবে, বাঙালীর শিরদাঁড়া শক্ত হয়েছে।
বাঙালী প্রতিবাদ করতে শিখেছে।
হোক কলরব হয়েছে।
চার মাস অবরোধ শেষে
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি-কে অপসারণে সক্ষম,
পুলিশ সত্যি এখন কাঠের পুতুল।
রাস্তায় প্রকাশ্য চুম্বন করতে পারছে,
পুলিশ ধরুক দেখি!
মিথ্যা ন্যায় বিচার কখনই টিকবে না।
২০১৫ সালে না থাকলে এই নৃশংসতা
দেখতে পেতাম না আর।
যেমন রবি ঠাকুরকে সচক্ষে না দেখার আপশোস
তেমনি মানুষ হয়ে এসব দেখে, ন্যাকামো করার
জন্য নিজেদের ধিক্কার।


আসলে চোর-কে চোর বলতে জানতে হয়।
চোর তোমাদের চোখ রাঙানি দেখতে দেখতে
মূল মন্ত্রটা আমরা শিখে ফেলেছি।
অট্টহাসি কি তোমরাই হাসবে?
আমরাও হাসতে জানি, অনেক কেঁদেছি তো
তাই আর কান্না নয়।
শয়তানকে শয়তান বলতে শিখেছি।
দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে।
তাই রক্ষক তোমাদের বুড়ো আঙ্গুল।
১০৮ তোমাদের নৈতিকতার মুখোশ।
তোমরা ক্ষমতা আর অর্থলোভী।
আর আমি মানবিকতা লোভী।
মানবতাবোধ আছে বলেই কলমে লাল কালি
কলমে জীবন্ত ইতিহাস।


আবার ভয় পাচ্ছ পড়তে এসব?
ভয় না পেয়ে, প্রতিবাদের কবিতা লিখতে শিখছে পাঠক
তাই পাঠকদের বলতেই হবে
প্রতিবাদের ভাষা এক ও অদ্বিতীয়
পৃথিবী যেমনই হোক,
যতদিন বাংলা ভাষা রয়েছে,
প্রতিবাদ হবে, প্রতিবাদের মতন।
বুদ্ধিজীবি চাই না।
চাই শুধু মানবিকতার আরোগ্য লাভ।
ভালবাসার অস্তিত্ব – বাংলা তোমাকেই ভালবাসি,
বাংলা এই পৃথিবীকে ভাল করে বাঁচতে শেখাও।
তাহলেই চির যৌবনা কবিতার সৃষ্টি হবে।