গঙ্গার ঘাটের এই জলের শব্দ অনেক কাল শুনেছি – ঘুমে,
আজ দেখলাম গঙ্গার জন্য আরতি,
ঘাটের সিড়িতে কি সুন্দর পঞ্চ প্রদীপ।
আরতি দেখব বলে হাঁটছি,
আর
আমার স্মৃতিই গাঢ় হচ্ছে...
হঠাত্ দেখি কতগুলো ছেলে – কি সুন্দর ক্যারাম খেলছে।
মনে পড়ে গেল ছোট বয়সের কথা।
রাস্তায় ছেলেদের দাপানি,
কুমোরটুলির সেই কাঠামো আর খড়...
উত্তর কলকাতা আর আমি ওতপ্রত ভাবে এক-
কেন? কারণ শৈশব কেটেছে যে এখানে, মামাবাড়িতে।
তারপর বাগবাজার ঘাট থেকে লঞ্চে বাবুঘাট।
সেই জল, সেই হাওয়া, সেই গন্ধ আমি পাচ্ছিলাম
নিবিড়ভাবে।
সে তো অবাক কান্ড,
অবাক এক কলকাতার আইকনিক ল্যান্ডস্কেপ।
যদিও আলোর অভাব, তবু
এই স্থির ছবিগুলো আমি দেখছিলাম।
ছবিগুলো আরও ভাল হতে পারত।
দিনের আলোতে কৌণিক মাপগুলো সুন্দর হবে
হবেও একদিন।
আমি নিয়ে যাব এই স্থির চিত্রশিল্পীর মননকে সেখানে...
যেখানে সে পৌছাতে চায়।


আজ এই স্থির ছবিগুলোর প্রদর্শনীতে,
আমার মনে পরে যাচ্ছিল,
আগে তো আমি এই ঘাটগুলোতেই প্রেম করতাম,
সাথে সে থাকত।
আজও একা যাই, সে থাকে না।
এটাই সত্যি ভালবাসা, ভালবাসা তো ত্যাগ।


কিন্তু এই স্থির ছবিতে সে ফিরে এলো... হঠাত্ই।