ভাললাগার অনেক রূপ পরিবর্তন হয়,
অনেকটা দীর্ঘ জিগ্যেসা স্থাবকতায়,
সময়ের চিরন্তনী রাগ-অনুরাগ থাকে...
তবু তোমার মধ্যে থাকা অগোছালো শিল্প
অনাবিল আনন্দ।
রয়ে যায় সাবলীল একাত্মবোধ।
বলেছিলে.. এলোচুল ভাল লাগে,
বুঝতে পারলে না,
সে তো কেবল বাহানা,
আমি যে চিরটা কাল তোমার হাসি মুখে
তোমার পৃথিবী জয় দেখতে চেয়েছি।
নগর আর নগররূপী মানুষের কোলাহলে,
তুমি কতটা একা, তা তো বুঝতে পেরেছি।
তাই তোমার অমরসঙ্গী সমীরণকে অভিবাদন।


আসলে তোমার রূপে তুমি ভোলাবে না,
এই, বিস্ময় ভাবটাই ভাললাগে।


একা থাকি যখন, মোবাইলও ধরি না যখন
ফিরে পাই তোমায়, তখন,
এক অমোঘ উত্তাপ পাই।
তাই, রক্তকরবী ফুল খুঁজে চলেছি – তোমার জন্য।


ঐ যে কুকুর দেখে ভয়ার্ত চোখ
আমার ভাললাগার একটি।
রেগে গিয়ে গালি দিস –উফ কি আদা।
কখনও হিংসা করিনি, ভুল বুঝেছি সেটা ঠিক
তা তো অসময়ের পরিহাস।


না জানা সেই উপুর হয়ে শুয়ে কাঁদা,
এলোচুলে হাত বুলিয়ে দেওয়া,
ফিলিং করা দাঁতে, হাসি-অমৃত পাওয়া।
ছোট শিশুদের আলতো করে হাঁটতে শেখানো,
লজ্জা পাওয়ার লাল গালের ছোট চোখ।


তবু না-কবির স্পিকটি নট,
একসাথে বেড়াতে যাওয়া –হোয়াট এ থট।
কি ভালোলাগে, আর লাগে না ভাল
তা বলে বোঝাতে পারি না।
কারণ চাহিদা থেকে সম্পর্ক গড়ে ওঠা
সেই বেড়ে ওঠা,
ভাবনার আড়ালে এ যেন মুগ্ধতা।
এ মিষ্টি মুগ্ধতাতেই রয়ে যাবো


রয়ে যাবো চেতনা অভিসারী হয়ে

এক চির অনুরাগী।