(১)
আমার লেখা কেউ কিনবেন? কেউ কি কিনবেন?
কাট ফাটা রোদ্দুরে দাড়িয়ে... ভাল রবীন্দ্রনাথ কিনবেন?
আচ্ছা না হয় নজরুল নিয়ে যান, রয়েছে অনেক গান
প্রচন্ড ক্ষুধার্ত, তৃষ্ণার্ত বাঙালী, পূর্ণ চেতনায় করুন স্নান।


(২)
দুপুর রোদে বাচ্চাগুলো ভেড়ির জলে খেলছে,
মেঘবালিকার মতন শৈশব ডানা মেলছে...
জানেন ওরা ময়লা বেঁচে প্লাস্টিক আলাদা করে,
শিক্ষা, দুবেলা খাদ্য, উন্নতির স্বচ্ছতা নেই ওদের ঘরে।


(৩)
দাদা দু বোতল রক্ত হবে ও-পজিটিভ,
ব্ল্যাড ব্যাংকে উত্তর আসে নেগেটিভ।
অনেকক্ষণ ধরে ঘুরছে এদিক–সেদিক গ্রীষ্ম রোদে
অবশেষে তাদেরও পা দিতে হচ্ছে দালাল চক্রের ফাঁদে।


(৪)
ট্যাক্সির ঐ ড্রাইভার যারা দুপুর রোদের কষ্ট
কেউই করতে পারেন না তাঁদের জীবন ইচ্ছা নষ্ট।
দুপুরবেলা বটঅশ্বথ তাদের সঙ্গী বন্ধুর মতো
ট্যাক্সি ফেলে ড্রাইভার ভাইয়েরা বিশ্রামরত।


(৫)
অফিস পাড়ায় কাঁটা ফল, লস্যি, কুলফি বিক্রি হচ্ছে বেশি
পাড়ায় পাড়ায় বিকেলে আইসক্রিম গাড়ি রোজ দেখি।
অনাবিল এক আনন্দ আর বেঁচে থাকা বাঁচিয়ে রাখা পাখির বাসা
তিলোত্তমার পার্কে পার্কে জমে উঠুক এ সময়ের ভালবাসা।


(৬)
এই রোদ্দুরটাই পাল্টে যায়, ম্যাল চত্বর দার্জিলিং,
ঘুরে আসা স্বর্গ রাজ্য সিকিম, আলাদা এক ফিলিং।
বেরিয়ে পরার সময় পরীক্ষার রেজাল্ট বাধ সাধছে
জীবন গড়ার সাপ লুডোতে সত্যিই জীবন কাঁদছে।


(৭)
“অমলকান্তি রোদ্দুর হতে চেয়েছিল” - আর আমি কবি
মা বলে চাকরি করতে বাবুর মতন–হাতে মৃত বাবার ছবি।
আমি হাসি, আর ভাবি আত্মার আত্মবোধিত সুখ যে কাজে
ইতিহাসের পথ ধরে সে রয় - সময় সফলতার মাঝে।