(১)
আমি কি লেখক, কবি না সাহিত্যিক
যে লেখা নিয়ে আসব পৃথিবীর আনাচে কানাচে থেকে...
আমি তো বেঁচে আছি-শুধু কবিতাতেই।
আমি তো নাগরিক আধুনিকতার বৈষম্য,
আমি এক যাযাবর বোহেমিয়ান অসততার মূর্ত প্রতীক।
তবে আমি নাস্তিক না হয়েও কবি,
আমি ঈশ্বর বিশ্বাসী ও সম্ভাবনার পূজারী।
কারণ পৃথিবীটাই একটা সম্ভাব্য
আর
আপনি সেই সম্ভাব্য ইতিহাসের ধারক।
কর্মের চিরন্তন এক আঙ্গিক-স্বমহিমায়।
(২)
আজ বাংলায় কত তারিখ!
ভ্রু কুঁচকে গেল!
আজ ৬ জৈষ্ঠ (এই বানানটাই মাসের জ্যৈষ্ঠ মানে বড়)
এই বলেই বৃদ্ধ শিক্ষক
এগিয়ে গেল আধুনিকতার দিকে।
(৩)
দীর্ঘ সময় কথা হয়েছিল, আশাই পরিকল্পনার রূপরেখা গড়েছিল
বাইরে তখন মেঘ গুরু গুরু, অসম্ভব এক চেতনায় মন ভেসেছিল,
বাংলার জন্যই আজীবন ভাবতে শিখেছি, এই পৃথিবীর মাঝে
কত রং পেরিয়ে এসেছি সমস্ত উড়ন্ত ভাবনায়, জীবনসাঝে।
ভারত, আমেরিকা সামঞ্জস্য দু’দেশেতেই মনের যাতায়াত আছে,
এভাবেতেই মিত্র সু-ভাবে আসছে, মাতৃচেতনা, আত্মার কাছে।
(৪)
যে ভাবে পৃথিবীর কাছে শুধু ভাষার জন্য বিপ্লব করা যায়
সেই পথে আমি হাঁটতে চাই না আর, ভাবতে চাই না আর,
শুধু বলতে চাই, নতুন দিনের কথা, নতুন ভাষার আলোড়ন
যার সবটুকুই অন্ধকার সন্ধ্যায়, কবি তুমি করে নিলে আপন।
(৫)
ধীর স্থির একটি মাতৃপূর্ণ দৃঢ় চেতনা অভিসার যাপন করছে
প্রাণময় মমতার আশ্বাস, কুন্তির মতোই নীরবতায় টুপটুপ ঝড়ে পড়ছে...
আর আমি কি লোভী, কিছুর বিনিময় কিছু পাবো বলে বাঁচি, রোজে
রোজ সকালে মনটা ফেলে, পেশাদারিত্বে সাজি... নগরায়ন বৃত্তির খোঁজে...