রবি ঠাকুর একান্ত ব্যক্তিগত হয় না,
রবি ঠাকুর নিজের আপন হয় না।
তিনি সর্বজনের সর্ব কালের।
আমার যা ব্যক্তিগত, তা তো প্রকৃতির নিজস্ব
প্রকৃতির যা নিজস্ব, তাই তো রবি ঠাকুরের ব্যক্তিগত।
সে সকল উদাহরণ আছে শত শত।
থাক সে সব কথা,
আজ তো ঝগড়া করতে চাই না তোমার সাথে,
হাত রাখতে চাই তোমার কাঁধে।
কতকটা অনুষঙ্গ, কতকটা ব্যর্থতা,
কিছুটা প্রেরণা, কিছুটা চেতনা।


বিষয় ভিত্তিটাই এতটা জোড়ালো
সব কেমন মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়
অতীত বর্তমান সব মিশিয়ে দেয়।
তবু, একটি মানুষ ব্যক্তিগত হতে পারে না।
একটি মানুষ ঠাকুর হতে পারে না।


অনেক বিকিকিনি যার জন্য বাঙালিরা করে,
নিজের আখির লোভ লালসায় ভরে,
তাকে নিয়ে কাটিয়েছি কিছুটা কাল
হেঁটেছি বৃষ্টি ভেজা কবিতার আল,
তোমরা তো দেখতে পাও না, সেসব ব্যথা
মুখেই শুধু লেগে হাজার কবিতা।


তবু কবি থাকে জীবনের ষড় ঋতুতে
থাকেন মায়াময় জীবন গীতিতে
আলোচ্য সম্ভাবনার শ্রেষ্ঠ নাগর তিনি
যিনি পাঠালেন... তাঁকেই কি আমরা চিনি!


জানি না বলেই অসংখ্য প্রশ্নবোধক ইচ্ছা অনিচ্ছা
প্রকাশিত হয়... বহুকাল থেকে.. যা নয় ব্যক্তিগত
কিছুটা আন্তরিক তো বটেই।