বৃষ্টির কৃষ্ণ মেঘ ও শব্দে, চাদর মুরি দিতে হয়
ইচ্ছাজীবনের কেটে যায়, কত শত ভয়।
অনেক ঘুম তো ভেঙেও ভাঙতে চায় না আর
ভীড় রাস্তার নিস্তেজ সকাল ডাকে বার বার...
সেই তোমাকেই ঘুম, ভিড়, শহরে খুঁজি চোখের মণি
এ কেমন ভালবাসার চুড়ান্ত এক খনি...
একটা দিন ছিল অন্যভাবে ভেজার,
ঝিরঝির, এক পশলা, মাতাল করে সাজার..
এখন তো ভাবনাতেই তুমি বাঁচবে, মজার
তবু ভালবাসার শিকড় উপরে ফেলা যায় না সবার,
ভাবতে চাইও না, যে তুমি নেই আঙুল ধরার।
এই পশলা মেঘেও রোমাঞ্চ, তোমার ঘাম ও বৃষ্টি গন্ধ
যে যাই বলুক তোমার প্রেমেই আজও আমি অন্ধ।
ভাড়ে করে চা, তেলা ভাজা সে সব তো অমৃত
ভালই বেসেছিলাম, তার জন্য আমি গর্বিত,
হয়নি, ঘর করা কিছুটা জীবন, তা নাই বা হল
ভেবে দেখ, জুন মাস কত কিছুই তো দিল,
কাব্যের মতন স্মৃতি শুধু ভালবাসা নয়, প্রেরণা
ভালবাসাকে ভালবাসলে নেই কোন অনুসূচনা।
কৃষ্ণ প্রেম শুধু রাধার পেটেন্ট, আমারও আছে রিক্সা
টুং টুং করে বাজে, হাতে টানা, হাতে গোনা ভিসা।
আদি কলকাতা থেকে দক্ষিণী মল কালচারেও বৃষ্টি
হোয়াটঅ্যাপ, এফবিতে নতুন এক সৃষ্টি।
শুধু একটা অসুবিধা বৃষ্টি শুনলে একটু কান্না পায় জুনে
ভালবাসা যে বড্ড অবুঝ, এক্কেবারে খুনে।


শুধু বুঝতে চাইছো না তোমরা কজন কবি পাঠক
জুন মাসের অনবদ্য অঙ্গীকার, আসলে এক নাটক।
বৃষ্টিতে যারা ভিজেছে একসাথে, একা, না ভেজা
ঘাম জড়ানো বৃষ্টিতে আছে রকমহীন মজা।
কেউ তা বোঝে, কেউ তা খোঁজে, কেউ যায় হারিয়ে
রেপ করা মেয়েটাও ভালবাসার জন্য হাত বারিয়ে...
কবিতাও কেমন বাস্তব থেকে কল্পনায় উড়ে পরে জলে
প্রথম বৃষ্টির চুমু থাকে আজ সাজানো শপিং মলে।
তবুও জুন মাস বাঁচুক, আর আমিও লিখব জুন প্রথম
কবি বন্যা পাঠক, এখানেই করতে হবে খতম।
(ইস্ খুন নয়) বৃষ্টির রোমান্টিকতায় রবি ঠাকুরের জয়,
বলতেই হয়, আষাঢ়ের নীল নব ঘন.....নেই সংশয়,


যাকেই ভালবাসো না কেন, জুন মানেই গল্পটা তোমার
সে ভালবাসা চিরন্তন, প্রথম বৃষ্টির মতোই সে শুধুই আমার...