হায় বাঙালি, বাঙালির সবচেয়ে বড় কান্ডারীর জন্মদিবসের প্রাক্কালের উদযাপন করা কি উচিত নয়.... যাদের একটি রবীন্দ্র সংগীত পাঠালাম সামাজিক মাধ্যমে তারাই জিজ্ঞেস করছে “আজ কি বাইশে শ্রাবণ!!”… যেন আকাশ থেকে পড়ল.... শুধু কিছু বাঙালি বাঁচিয়ে রাখবে... বাংলার সংস্কৃতিকে! বাকিরা এগিয়ে যাবে ভোগ সমাজের কালো ছায়াকে নিয়ে, মেকি সম্পর্কের মাঝে ঠকবে, প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত... এটা আমার বাংলা নয়, বাংলা শব্দের কবিত্ববোধ অনেক বড়। আর আরও বড় কবিগুরুর অবদান। কেন মানুষ মারামারি করে! কেন আতঙ্কগ্রস্থ হয়। শুধু যদি কবিতার দেশেই থাকত, কবিতাকে ভালবাসত, আনন্দ করে বাঁচতে পারত, তাহলেই মুক্তি পেত জন্মের পাপ থেকে। কবিতাকেই একমাত্র পাখির চোখ করে আমি তো এতগুলো বছর কাটিয়ে দিলাম। জানি আমি কবি নই, আমি হতেও চাই না, তবু কবিতার জন্ম একটি জন্ম দিতে চাই উজার করে। যারা হতাশায় আজও ভুগছেন, যারা মৃত্যুর কথা ভাবছেন তারা রবীন্দ্রনাথ পড়ুন, কবিতাগুলি পড়ুন। কবিতার গন্ধ উপভোগ করুন। শিক্ষিত হতে হবে না, আপনি আপনার মতো করেই কবিতার স্বাদ পাবেন। আপনি কে, কেন এসেছেন তা বুঝতে পারবেন... আর বাইশে শ্রাবণ থেকে পঁচিশে বৈশাখ পর্যন্ত এক নতুন মানুষে রূপান্তরিত হবে।
কবিতা পেটের ভাত কখনই দেবে না, কবিতা বাঁচতে শেখাবে, আর বাঁচতে শিখলে... ভাত উপার্জন ন্যায় সঙ্গত কারণেই হবে। এটি আমার মতাদর্শ নয়, এটাই বাস্তব। কবির কবিতাতে থাকলে দস্যু রত্নাকরের মতো অপরাধীও বাল্মীকির প্রতিভায় জেগে উঠবে আবার... লিখবে নতুন রামায়ণ... সে নারীর অত্যাচারের কথা এবার প্রধান করে লিখতে পারবে। তাই কবিতার স্মরণ নিতেই হবে।
কবিতার গুণ, রস... তার চলন সমস্তই বদলে দেবে। দূরদশর্নের সংবাদ খুলে যে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হতে হয়, তা থেকে হয়ত কয়েকটি কবিতার জন্ম নেয়, কিন্তু বিশ্বাস করুন চাই না সে কবিতার খ্যাতি। চাই আনন্দ করে আত্মার মুক্তিতে সামিল হতে। স্বাধীনতার মানেই বুঝতে শিখলাম না, তাই কবিতাও বোঝা হল না কতকাল। তাই কবিতা বুঝতে চাই, তাই বাইশে শ্রাবণে নির্ভৃতে একটু কাঁদতে চাই.... “এমনও দিনে তারে বলা যায় এমনও ঘন ঘোর বরষায়...”