বৃষ্টির ধোয়াশায় মেঘ কালো
আচ্ছন্ন করছে বিছানা চাদর,
এখন জীবন দ্রুততাও ভালো
আমার যে সকাল চাইছে আদর।


অফিসে যারা যায় জল টপকে
কবিতা মেকি, কবি তো আলটপকা,
বেকার জীবন কিছুটা হাটকে
বৃষ্টির কার্নিশে বসা ভেজা কাকটা।


আজও কিছু পাগল বাঙালি বর্ষা
দিনে রোমান্টিক ইলিশ খিঁচুড়ি
রোদ উঠলে সবুজ হাসি ফর্সা
বিয়ে বাড়িতে পড়বে কি বালুচুড়ি।


রেনিডে হলে মন্দ হত না,
কাগজ নৌকো ভাসানোর দিন,
ভেজা জামা জুতো হাতে খালি পা।
বৃষ্টি আজও ছোটবেলার ঋণ।


জানলার ধার ঘেষে বৃষ্টি ছিটছে
মুষুলধারার শব্দ গন্ধ প্রাচীন
কত কালের রাগ, ধুয়েই মিটছে
বৃষ্টিকষ্ট ট্যালিতে কবিতার ঋণ।
চাইছি আসতে বেরিয়ে
শহর আমার প্রিয় দীর্ঘনিশ্বাস,
সমস্ত জীবনকে ছাড়িয়ে
তবু মন চেতনার প্রবাস।


আস্থাহীন থেকেই মেঘ বৃষ্টির
ধুলো জমা মন থেকেই কালো
আলঙ্কারিক সূচনা ও সৃষ্টির
নয়ন তারা আলো জ্বালো।


শত দিবস তো বছরে বৃষ্টি
তবু দূষণ রোধ পলিপ্যাক বর্জন,
ক্যাটাসট্রফি এখনও বঙ্গে জল মিষ্টি
বাংলা কবিতা করবে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন।


তোমরা বুঝতেও পারবে না
শুধু সমালোচনা করবে কবির,
বৃষ্টিকে পাল্টাতেও পারবে না
বৃষ্টির ক্ল্যাইমাক্স... শুধুই স্থবির।