জন্মদিন মানে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাওয়া
অন্যরকম ভাবে নিজেকে খুঁজে পাওয...
আজও জন্মদিন...দেশের..কিশোর কবির
তবু যক্ষ্মাতে প্রাণ দিয়েছিলেন একুশে।
দেশ জুড়ে উদযাপন হচ্ছে স্বাধীনতা।
টিভি, রেডিও, সংবাদপত্র সর্বত্র...
হাঁপিয়ে উঠেছি।
কবিতা নেই এই মাতৃভূমিতে।
চেতনা নেই, আছে বাহারি মৌতাত,
হাজার হাজার শিশুকে মিথ্যা স্বপ্ন দেখানো...
আদতে আষ্টেপিষ্টে.. বেঁধে ফেলা.. পরাধীনতায়।
শিক্ষা-আনন্দ দেয় না, উন্নয়নে জঙ্গি হানা হয়
স্বাধীনতা প্রতিনিয়ত ধর্ষিত হয় মানবতার চোখে।
কিশোর-কিশোরীরা একটুও মাথা না ঘামিয়ে
ঝাপিয়ে পরে প্রাচ্য পাশ্চাত্যের মূল্যহীনতায়...


কেন আমরা ভেবে দেখব না।
আমরা কি মেরুদন্ডহীন, মস্তিষ্কহীন!


জানি না, শুধু জানি ঋষি অরবিন্দ তার জন্মদিনে
আশ্রমের শান্তির জন্য বলতেন – আর হয়তো...


কবি নেতিবাচক কেন জানেন?
মান আর হুশ হারিয়ে বিজ্ঞাপনে মেতেছি
কি পেয়েছি তাতে?
সোনা কেনা, জামাকাপড় কেনার স্বাধীনতা।
শিক্ষা, মূল্যবোধ, চেতনা, অনুভূতি, জীবন যাপনে স্বাধীনতা!
পাবো না,
বাংলা আকড়ে জোয়ার উঠবে মঞ্চে
কিন্তু
কেউ দেশমাতৃকার দুর্দিনের কথা ভাববে না।


আচ্ছা আজ কেউ একটা গাছ লাগিয়েছেন
যা দূষণের মাঝে অক্সিজেন দেবে?


জানি, সবটাই কবির বৃথা আশা
দেশের প্রতি আমাদের লোক দেখানো ভালবাসা।