যে পথ ধরে আমি হেঁটে চলি
আজও, সে পথ ধরেই অলিগলি।
সেই পথের প্রতিটি গাছ আমারই বন্ধু।
ওরা শুনেছে আমার গান, অশ্রু বিন্দু
আমার কবিতায়,
প্রতি যাত্রায়।
আমি এই পথেই খুঁজেছি
তোকে সংগোপন পেয়েছি  ।
তোর স্নিগ্ধ পরিপূর্ণ রূপ
কবিতার স্বরূপ।


চেয়েছিলাম এ পথ ধরেই
হেঁটে যাবো আমি।
আমার সাথে তোর স্মৃতি,-
কিন্তু, এ কি হল!
এক অপূর্ব কালী মূর্তি
অন্ধকারে এগিয়ে এলো।
মিষ্টি হেঁসে বলল
আমার বন্ধু হবে! সৃষ্টি!


আমাকে সৃষ্টি বলায়
আমি তো আপ্লুত,
আপ্লুত আমার হৃদয়।
কি অকৃতজ্ঞ!
আমি আমার আসল আমিকে ভুলে গেলাম,
নতুন পাগলীর হাসিতে আমি বিভোর।


জীবনের যে লক্ষ্য পথ
যে তোকে পাওয়ার জন্য
আমার চলার শুরু
সেই তোকে আমি
এই নিচ প্রাণে কত সহজেই ভুললাম।


আসলে আমি তো প্রেমের পূজারী।
আমি তো সর্বদা বাঁচার স্বপ্ন দেখতে চাই,
আমি তো হাসি খেলায়
মনের চির যৌবনে
পেতে চাই তোর সান্নিধ্য।
তাই আজ –
তোকে না পেয়ে
চির প্রভাতের গান
রাতের আধারে নতুন পাগলীর অভিমানকে
অনেক বৃহৎ করেছি।


এই পাগলী তো নিজেই বলছে
আমি ভ্রম নই
তাহলে কি ও সত্য?
তাহলে ওই আমার পরিপূর্ণতা।
বিশাল দ্বিধাময় প্রশ্ন
আমাকে ভাবায়
ভাবিয়ে নিয়ে চলে
দূরে কোন সীমানা শহরে।
আমার মন আমার প্রাণটাই এমন
যা চাই, যা পেতে চাই
তা কখনই পাই না
ভাবনার বেড়াজালে নীতি রাজনীতি
কেমন যেন সব, মিলে মিশে
একাকার হয়ে যায়
কেমন যেন স্নেহলতা সকল কিছু চেপে ধরে।


কোথা থেকে আজ এল
মনপ্রেয়সী, স্বপ্নবিভোরী প্রাণ,
জানি না তবে ও আসে
দেখা না দিয়ে চলে যায়
আজ তবে এই নারী
কি সত্য পাগলী
কোনও সংকেত, কোনও মূর্ত প্রতিভা
করতে চাইছে প্রকাশিত,
জানার যে বড় ইচ্ছা জাগে।


অপূর্ব এক চোখের দৃষ্টি
মনহরণ করা প্রাণের কথা-
না বলার ভিতরেও, অনেক কিছু
অনেক আন্তরিক প্রয়াস-প্রকাশিত
এই তো জীবন,
জীবনের স্রোতস্বিনী চুল
বিনুনীর ভিতর দিয়ে নামছে
কত যুগের আন্তরিকতা
ছন্দের টানে হাঁটা, ছোট ছোট
মায়াবী নূপুরের শব্দ...


Takes me to the spiritual
moments of life.


গাঢ় কালো চক্ষু,
গাঢ় কালো শৈশবের চাহুনি
সৃষ্ট মুহূর্ত আমাকে বলে যায়
এই পাগলীর সাথে দেখা হওয়ার-পূর্ণ লগ্নেই
আমার বেঁচে ওঠা।
আমার কবিতা।
আমার এগিয়ে চলা।


অন্য জীবনের মানে
আস্তে আস্তে সন্তর্পণে
খুঁজে পাওয়া
ওর বলতে চাওয়া,
ওর নিঃস্বার্থতায় বিভোর হওয়া
আমার প্রকাশ
সৃষ্টির মুক্তি,
মুক্তির ঐ পাগলীময়তাই
নারীর পূর্ণ আর্শীবাদ।
পুরুষ হিসেবে পাওয়া
প্রকৃতি-পুরুষকেই গাওয়া
শুধু কবির জন্য
পাগলীও এখন বন্য...