যে দেবী সর্ব প্রাণীতে বিরাজমান
তাকে নমস্কার করেই আগমনী স্নান।
প্রভাতে স্নিগ্ধ শিউলি গন্ধে মহালয়া গান।
রূপান্তরিত সময় এক অমোঘ চেতনা।
আগমনির অমৃতজ্ঞান আমাদের প্রেরণা।
তুমি পরা প্রকৃতি...সমস্ত জগৎ তোমার দ্বারা
শিব ও ব্রহ্মা, তোমার থেকেই নিরাকারা...
দানবের থেকে বিশ্বকে রক্ষার্থে তুমি দেবী
তুমি তম রূপে অব্যক্ত অগোচরে জননী...
তোমার থেকে মহাতত্ত্ব তারপর সৃষ্ট তুমি
সমস্ত পদার্থ তোমার থেকে চৈতন্য ভূমি।
অনাদি-অনন্ত বাক্য মনের অগোচর
তুমি মহাযোগিনী...মহাকালের চেতন প্রখর।
আদি থেকে তুমি জাগছো...তবু ঘরের মা
তুমি বিদ্যমান থাকো মায়াময়...অভয়া মা
তুমি সকলের আদি...বুঝেছিলাম সেই
কিন্তু তোমার আদি কেউ নেই।
যে দেবী সর্ব প্রাণীতে চেতনারূপে অভিহিতা
তার জন্যই তো আগমনি প্রভাতে সম্পির্তা।
যে দেবী সর্ব প্রাণীতে শান্তিরূপে বিরাজমান নমস্কার
শান্তিটুকুই আকাঙ্খিত আজ মানবতার পুরস্কার।
যে দেবী সর্ব প্রাণীতে শক্তিরূপে বিরাজমান
তার সেই তৃষ্ণা রূপে স্মৃতির মতোই বিরাজিত
মাতৃরূপে স্থিতার অঙ্গীকারকে কে করবে পরাজিত!!
মহাতত্ত্ব থেকে পরমাণু সবই তোমার যাতায়াত
মা তোমার জন্য তৃতীয় বিশ্বে মঙ্গলময় স্বপ্ন প্রভাত।
এই চেতনা থেকেই সমস্ত বিদ্যা উৎপন্ন
বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের সবটুকু অবগত...জোগাও অন্ন
কিন্তু কেউই তোমায় জানতে পারে না।
তুমি সর্ব রূপের সর্ব শক্তি স্বরূপা
দেবতার মধ্যে অবস্থান করে অপরূপা।
#
আগমনী প্রভাতে চিন্তে শিখেছি মায়ায়
তুমি ছিলে বলেই সুখযাপনের আশায়
আজও নতুন নতুন করে আগমনি তুমি
মাতলো রে ভুবন, আর্শীবাদী বঙ্গভূমি।
এই নতুন ভাবে চিন্তে শেখেছি আপনে
তোমার আবাহন তত্ত্বে মায়াময় সংগোপনে
সেবার মূল মন্ত্র নিয়ে মা তুমি এসো
এই মানবকুলকে আবার ভালবেসো।
পরিষেবাটুকু দিতে চাই চিরটিকাল
মানব সেবার বীজ মন্ত্রটুকুই সমকাল।
মায়ের জন্য মৃত্যু ও ব্যাধি ভয় হোক দূর
আমরাই বধ করব অজানা অসুখের অসুর।
তাই সর্ব দেবতা তেত্রিশ কোটি আজ থেকে ছুটি
মা দুর্গার হাত ধরে গণেশ, কার্তিক হাঁটছে গুটি গুটি...
আসুন সরস্বতী, লক্ষ্মী হোক সমস্ত নারীকুল
প্রকৃতি ও পুরুষ হোক চেতনাবহুল।
আগমনি গন্ধের নতুন প্রভাতে আঁখিজল
আগমনি চেতনাই আজও মনের বল।
ফিরে এসেছি আবার মানুষের জন্য
আগমনি শিখিয়েছে জীবনের লাবণ্য।
তাই শান্তি প্রতিষ্ঠার ব্রত নিয়ে সেবাই জীবন
এখানেই শেষ করলাম আমার দেবী তত্ত্ব আবাহন।