রূপম ও শম্পা দুটি চরিত্র ক্যানভাস
কুড়ি বছর পর তাদের বর্ণনার প্রকাশ।
সবেই ফ্ল্যাটের লোনটা হয়েছে শোধ
শীতের সময় রোদ্দুর বারন্দার বোধ...
শম্পা বলছে শাশুড়ী মা এখানে বসত বলো
চল না বাবাই শান্তির স্থানে নিয়ে চলো।
পায়ের অপারেশন হলেও নানা ব্যায়াম
অভিনন্দন-ই সন্তান, মনের আরাম।
#
প্রকৃতি শোভাকে কতজনই বা সন্তান ভাবে
এই বাঙালির সংস্কৃতি কে এগিয়ে নিয়ে যাবে?
অনেকটা চিন্তাহীন, দুরন্ত তুর্কি রূপম
প্রকৃতির কথায় চিকচিক করে মণি, অনুপম।
#
এখন তাই ট্যুর প্রোগ্রামে তেমন নেই
ব্যবসা বেড়েছে... উপরওয়ালা জানে সেই।
তবু মাঝে মধ্যে কিছু ঝামেলা থাকে
রূপকে সেই কাজকর্মই ব্যস্ত রাখে।
কিন্তু শম্পার বুড়ো হাতে চিন্তা নষ্ট
ছবি তুলতে, রান্না করতে খুব কষ্ট।
তবুও রবি ঠাকুর আছে এখন শম্পা
মোহনবাগানে রূপমের আজও অনুকম্পা।
ভাললাগে তাই পুরোনো ভ্রমণ স্মৃতি আজ
কতবার রাজস্থান থেকে নৈনিতাল যাত্রা
সব কিছু ভুলে নতুন পাওয়ার মাত্রা।
কল্পার সেই মনোরম দৃশ্য, কেরলের ব্যাক ওয়াটার
শম্পা সোয়েটারে কাবু হলেও রূপম নো সোয়েটার।
সে সব কথা মনে পরলে রূপমও হাসে
আজ শম্পার হাতের বোনা সোয়েটার ভালবাসে।
#
যুগ যুগান্ত পেরিয়ে সব হারিয়ে পাওয়া
অভিনন্দিত সময় গল্প হলেও সত্যিই খাওয়া।
অভিনন্দন ভাবছে তাই টাইম মেশিন করবে চালু
কাশ্মীরের টিউলিপ, ডুয়ার্সের পথটা ঢালু।
আন্দামানের সেলুলার জেলের সামনে গ্রুপ ফটো
স্মৃতির সারণী বেয়ে সে অভিজ্ঞতা নয় খাটো।
কত গণ্যমান্য ব্যক্তি আগেও গেছে বেড়াতে
আতিথেয়তা ও আন্তরিকতাই সাহায্য করেছে দাড়াতে।
#
আজও যখন দুজনে তাকায় দুজনের চোখে
ব্যাংক ব্যালেন্স হয়নি, জীবনে গেছে ঠোকে।
সন্তানসম অভিনন্দন আজ হয়েছে বড়ো
সন্ধ্যা নামছে বাবাই, ঘরে যাব হাতটা ধরো।
আবার একটা পার্টির ফোন বাজল কানে মোবাইল
অভিনন্দন, অভিনন্দিত করেই দিচ্ছে স্মাইল।
সব পাওয়া আপেক্ষিক, তার উপর প্রকৃতি সন্তান
অভিনন্দন অবিচ্ছেদ্য, অনন্ত এক বন্ধন।
#
এ সব কথা ভাল লাগে তাই দীর্ঘ হাইওয়ে
আজও দুজনে প্রকৃতির স্বপ্ন দেখেই ঘুমায়ে...
নতুন এক মাত্র, নতুন এক অধ্যায় ইতিহাস
সু বলেই অভিনন্দনকে সেলাম ও ভালবাসার আরাম।
#
শম্পার চোখে তখন রবি ঠাকুরের নন্দিনী
রূপম রক্তকরবী খোঁজে ভ্রমণরত, নয় বন্দি...
তবু প্রতিজ্ঞা এক সাথে, সকলকে নিয়ে বাঁচবে
অভিনন্দিত সময় বাংলা ভ্রমণ জ্বরে সাজবে...