জানি তো অনেক কিছু,
জানি তো জানতে
কি জানি না কিরকম
মন চায় না মানতে।
জানি তো অনেক রকম
জানে এই খুশি মহল,
শীতের শরীর জুড়ে
ভেজা সব রঙমহল।
অভ্যাসের অর্জুন লক্ষ্য
ব্যাসদেবের সৃষ্টি
অতুলনীয় পৌষের
এই মন-মাতাল বৃষ্টি।
কাছে আসছে শহর
ভালবাসছে কিছু,
চলতে থাকার জীবন্ত
চাহিদারা পিছু পিছু।
সবটা জুড়েই শৃঙ্গার
দেহ মন ছাড়িয়ে
স্মৃতি রাজ্যে লালপথ
গ্রাম্য বাতি-তুলসী দাঁড়িয়ে।
নক্সসী উঠোনে আজও
পৌষ পার্বণ হয়
আধুনিকতার চুড়ান্ত
স্মার্ট কতটা সংশয়।
নলেন গুড়ের গন্ধ
সুগন্ধী ছড়ায় পিঠেপুলি
ফিরে পাওয়া স্মৃতি
অমূল্য সব আধুলি।
বাঙালির নিজস্বতা
জঙ্গীযুগেও থাকবে,
জাতি বাঙালি
ফাগ আগুনে ভাসবে।
যতই মগজধোলাই
করতে থাকো সুখে
আড্ডা অমর বাঙালি
বাঁচবে দুধভাতের মুখে...  
#
লাল পেড়ে শাড়ী
ও লক্ষ্মীশ্রী আলতা
লালসিঁথি মাটি গয়না
আচাড় খাবো চালতা।
শীতের দিনে অল্প জলে
কোপাইয়ের আঁকাবাঁকা পথ
ফিরছে সুর ও বাউল গান
আঁখরাতে মনজমিনের শপথ।
ধীরে ধীরে ফর্সা হচ্ছে
মাটির ঘরের আলপনা
এই আশ্রম ছাতিমে
রাখলাম একাকিত্বের কল্পনা।
রবি ঠাকুর একটি থাকেন
সব জাতির মাঝে
ঈশ্বরকে ঠাঁই দিয়েছেন
জীবনের প্রতি কাজে।
হারিয়ে যাওয়া নোবেল
কি আসে যায়...
প্রভাত ফেরির এই শৃঙ্গার
আজীবন মন মাতায়।
প্রাচীনতা দেহতত্ত্ব
এই লালমাটিতে পাবে
গানেই সীমানা ধূসর
আলোময়তা নিয়ে যাবে।
লিখতে চাইছি মহাভারত
অনেক জন্ম ইচ্ছা,
এই ভারতের আত্মা
মানব সেবা-স্বেচ্ছা।
সে সব বড্ড ক্লিশে
মন পাগলের শৃঙ্গারে
প্রকৃতি প্রেম শ্রেষ্ঠতম
বুঝেছি চুপ, আধারে।
শীতের দিনে খেজুর রসে
গা গরমের পালা
আজ দুপুরে চাষে বোরো...
সাথে পান্তা একথালা।
টানছে আমায় গাঁয়ের
গন্ধ, টানছে বহুকাল
গেয়ো শীতে কুয়াশা
দেখবে স্মার্ট সকাল।
একটু একটু করে
গ্রামের পথে ফিরছে,
শীত শৃঙ্গার হ্যাঁচো..
লালাময়তায় ঘিরছে।
হাতটি বাড়িয়ে হাসছে
মেঠো পথে মেয়ে...
মনে পরে নস্টালে
দাঁড়িয়েছিল সে।
এখন টাকার হিসেব
শুধুই সম্পত্তি ভোগ
দু’কুড়িতেই শরীর জুড়ে
ভ্যাজাল রোগের দুর্ভোগ।
শীত সকাল ডাকছে
রাত আস্তানায় নেবে
শরীরের ক্লান্তি দূরে
শৃঙ্গার চুমুকে দেবে।
এখন কেবল প্রকৃতিতে
থাকব শুয়ে আমি,
সগৌরবে বলতে পারি
তুমি আমাদের জন্মভূমি...
#
ফিরতে হলে এখানে
ফিরব ভালবাসায়
আজ তবে যাই শহুরে
দিনযাপনের আসায়।