ঝিলিক ঐ দ্যাখোখো... বিসর্জন থেকে বোধনের আলো--
তুমি বলছ লখিন্দর তুমি জাগো, ওষ্ঠে সুধা বেহুলার
কিন্তু
তুমি জানতে যেদিন আমার কলম থেমে যাবে
সেদিন বৃষ্টি আসবে। এলো তো!
এটা কিন্তু আমার বোকা বোকা কবিতা নয়।
আসলে ঝিলিক তোমায় বলাই হয়নি
বৃষ্টি আমার খুব প্রিয় ছিল।
এক সময় বলেছিলে আমি কবিতার ম্যাজিক জানি
তারপর কখন যে ওষ্ঠ, গাল, চিবুক, পলক ভুলেছো...
তুমি তো শুধু নিজেরটুকু গুছিয়ে নিতে
আমার কাছে আসতে, বিদ্যুতের মতো
তারপর এক টুকরো গঙ্গায় ফারাক্কা দিয়ে
পদ্মার জলে মিলিয়ে যেতে। তিস্তাতেও মেলে তোর্সা।
শুধু ঝিলিক তুমি আমার চাঁদ পাহাড়ে আসতে পারো না...
সূর্যের অনন্ত জ্যোতির খোঁজে মিলিয়ে যেতে ডুয়ার্সে।
জানো ঝিলিক, আমি ঐ বনের পথে পথে
তোমাকে পাগলের মতো খুঁজেছি,
ঐ জঙ্গলেই এসকার্সনে গিয়ে তুমি আমায় জড়িয়ে
চুমু খেয়েছিলে...কেন তবে ঝিলিকের মতো
নিঃশব্দ হয়ে গেলে? জানি নিশ্চিত আয় নেই...
এটুকু বুঝি, তুমি যখন বললে
তোমার বাবা-মা আমার সাথে সম্পর্ক রাখতে
বারণ করেছে। বুঝে যাই...
তোমার কেরিয়ারের পিছনে অনেক টাকা খরচ হয়েছে।
তুমিও হয়ে উঠতে চেয়েছো মেয়ে হয়ে বাড়ির বড় ছেলে।
ঠিকই করেছ, কান পেতে আমার পশলা বৃষ্টি
তুমি শুনতে চাও না। এসব কেবল পাগলামি।
তুমি বুঝতে পারবে না আমার চোখের হাপর
অনন্ত শব্দলোকে অসমাপ্ত পান্ডুলিপিতে ঝিলিকের শপথ।
আমার কুটিরে সমস্ত পোশাক এলোমেলো...বিছানা-বালিশ
ঝিলিক চোখের মায়ায় আমায় বলেছিলে
সবুজকে ভালবাসো, প্রাণী-পাখি-জন্তুদের ভালোবাসো
বারান্দায় গাছ লাগাও, পাত্র রাখো জলের...
বামপন্থীদের জন্য সোচ্চার হয়ে বলতে শিখিয়েছিলে,
বেহুলা হেঁটেছিলাম তোমার পাশে মিছিলে...
সাবিত্রীর হৃত প্রেম আমার, একার লখিন্দর।
তুমি তো মাঠ, ঘাট, পথ পেরিয়ে, আমায় এড়িয়ে
অপ্রেমের প্রেমে এগিয়ে গ্যাছো তাকে ছুঁতে
যাকে কেউ ছুঁতে পারে না - এক্স টেন্স টু জিরো।
পারবে কি ছুঁতে অমরত্বের ভালবাসাকে!
আমার রক্ত বইছে ঐ মালদা, কাকদ্বীপ, বারাসাত সর্বত্র
হতাশাময় বসিরহাঁটের পোড়া ঘরে রামজান নেই।
বিশ্বাস করো এই সব দেখে-তুমি আর কাঁদতে পারো না।
তুমি আজ উচ্চতা পৌঁছানোর ছাড়পত্র।
তবু জেনো আমার প্রেম গুটি একদিন প্রজাপতি হবে।
আমার অস্থি, আমার ঘট আদি গঙ্গায় ভাসলে
উড়ে যাবে প্রজাপতি...সামিল হবেই বৃষ্টির সেই ঝিলিক...
ঝিলিক তাকিয়ে দ্যাখো আমি তোমার পাশে আছি
শুধু তুমি আমার পাশে নেই...
এগিয়ে চলেছি ঝিলিক বর্জিত – অনন্তলোকে।