অনেক কাল আগের কথা, অনেক কাল
সেই কালের আরশোলারা হারিয়ে গেছে।
ভুলেই গেছি খেয়ালি মনে নাচের ঘুঙুর শব্দ।
দেওয়ালের ডাম্প হওয়ার ম্যাপ,
অ্যাসবেসটারের গরম। ভোরবেলার ঘুম
রাত জাগা সেসব ম্যাসেজের ১৬০ শব্দ।
তবু মনের পথ ধরে তুলসী মঞ্চে --
আজও সিঁদুর লাল পেরে সায়ন্তনী
এসে দাড়ায় কবিতার ডালি হাতে নিয়ে।
মনে পরে নক্সী কাঁথার মাঠ পেরিয়ে --
কিশোরীর আচার খাওয়া ঠোঁট, গোলাপী নীল।
এখন অনেক আলোর মল কালচার সানগ্লাস।
আমি গরীব। আমি তো সময় উপযোগী আত্মা নই...
সমাজের ঐ চূড়ান্ত সফলতার কাছে হাসির খোরাক,
তাই তুমিও ঘৃণার পাঁচিলটা চীনের মতো লম্বা করলে,
মনের আঘাতগুলো দেখলে, আমার আত্মাটা নয়।
ভুল তো সব প্রাণের হয়, তবে ভালবাসলে সে সব তুচ্ছ।
ভুলগুলো মেনে ভালবাসাটাই তো জীবন্ত সায়ন্তনী।
বিশ্বাস-অবিশ্বাসের সামনে ভেসে ওঠে দাড়ি হাসি মুখ
কেন জানি না, মরদেহের থেকেও কঠিন বাস্তবতা --
আমায় শিখিয়েছে বারংবার। আজও শেখায় দু’কামরা।
বলতেই পারো ভাল ফলাফলের চাবিকাঠি হতে পারিনি।
বিশ্বাস করো সে সব আয়ুষ্মান জীবন্ত সৌরভে
আমি প্রবেশ করতে চাইনি।
ব্যাক্তিগত আক্রোশ ভেবো না।
আমি চেয়েছিলাম সুখী থাক আমার মন।
সুখে থাক বৃষ্টির সেই হাত, জানলা, লোমশ ডগি।
পাল্টে যাওয়া চুলের দৈর্ঘ্য, পাল্টে যাওয়া হাসি
বলতে বাধা নেই আজও তো আত্মাকেই ভালবাসি।
কনটাক্ট লেন্স পরা সেই বিয়ে বাড়ির কষ্টগুলো চিনেছি
রেখে দিয়েছি গুছিয়ে হরমোনের সৌভাগ্য বীর্য।
আসলে বুঝেছি ভালবাসার ফ্যারাকটুকু শিখেছো
ভালবাসা কী কেন কোথায় কবে কিভাবে, শেখায়নি
তোমায় যারা নারী করল সেই সময়ের মেন্টাররা।
তোমার জীবন আদর্শ অনেক বৃহৎ, আলোকবর্ষসম
তাই আমার ক্ষুদ্র ভালবাসাদের ফেলে দিতে হয়।
দিয়েছি। তাই তো কবিতার আস্তাকুড়ে চলমান লাশ।
হ্যাঁ, আমার মৃত্যুতে তোমার বড় হওয়ায় প্রভাব থাকবে না,
কারণ সে তো মনোবিজ্ঞানের ফ্রয়েড উলঙ্গতা
পেরিয়েছে।
সে জানে টাকা রোজগার করে মাকে সুখী রাখাটাই
জীবন।
ভালবাসার নীরবতাও যে ভালবাসা, সেটা ফ্রয়েডও
জানে না।
জানে শুধু এই কবিতা, আর না প্রকাশিত হাজার জন্মের
কান্না।