কৃষ্ণার আজ বড্ড অভিমান
কৃষ্ণকে বলছেন সবটুকু প্রণয়বশে।
ব্যসদেব বলেছেন ‘তুমি দেবগণেরও দেব’
পুন্ডরীকাক্ষ ‘আমি পান্ডবগণের ভার্যা, তোমার সখী--
ধৃষ্টদ্যুম্নের ভগিনী, দুঃশাসন কেন কুরুসভায়
নিয়ে গেল টেনে? লজ্জায় কেঁপেছি, শোণিতসিক্ত বস্ত্রে
ধিক ধিক ধিক – পান্ডবগণ, ভীমসেনের বল, গান্ডীব।
সনাতন ধর্মে স্বামী দুর্বল হলে স্ত্রীকে রক্ষা করে।
কৃষ্ণ বহু ক্লেশ যন্ত্রণায় পুরোহিত ধৌম্যের আশ্রয়...
কেন আমি যে নির্যাতন ভোগ করলাম আর
সিংহবিক্রান্তরা ইসকেপিস্ট...!!’
মৃদুভাষিণী কৃষ্ণা পদ্মকোষতুল্য হাতে মুখ ঢেকে
সরোদনে বললেন ‘আমার পতি-ভ্রাতা-বান্ধব-পুত্র-পিতা
কেউ নেই, তবু কেশব ক্ষুদ্রেরা নির্যাতন করবে...
সখা ও প্রভু আমায় রক্ষা করবে না!’
কৃষ্ণ বললেন, ‘ভাবিনী, যাদের উপর তুমি ক্রুদ্ধ
অর্জুনের শরে তাদের রক্তাক্তদেহ ভূমিতে শোবে।’
কৃষ্ণ সেদিন বলেছিলেন আকাশ ভাঙ্গুক, হিমালয় শীর্ণ হোক,
সমুদ্র শুষ্ক হোক, পৃথিবী খন্ড খন্ড হয়ে যাক
কৃষ্ণা রাজগণের রাজ্ঞী হবেন।
.
সত্যই শপথগুলো মহাকাব্যিক।
দুর্যোধনের খোঁজে অর্জুন আজও লড়াই করছে...
ফাঁকা বুলিগুলোই -- মহাভারত!