অবসরের ছুটিকে স্পর্শ করবো জেনেই ভ্রমণ,
আদিম, অকৃত্রিম লারিকাও জানে মহাবিশ্বে
লিখতে পারি না ছন্দকাব্য ভালোবেসে
কবি গাছ সেসব বলেই পিষছে।


ভুল বানানের আদি শিকড়, জড়িয়ে আছি নাগরপ্রেমে
ভালোবাসা ফেলে দিলে বৃষ্টিধারায় তিস্তায় আসে নেমে...


সাধ্য নেই বুঝি শেখানোর বা শেখার
আমি কেবল ভেসে যাই সময় স্রোতে
নাগরিক পোস্টম্যান চিঠি দেয় না আর
জোটে, কপালে আগ্নেয়গিরি পোতে...


তবু তুমি আমাকে ফেলেই দার্জিলিংয়ের সেই ম্যালে
গীটার ও অর্কিড হাসি পারেনের ঐ নদী স্রোত-ঢালে।


এসো মেতে উঠি সীমাবদ্ধতা পেরিয়ে
তোমাকে খোঁজার বাউল হৃদয় নিয়ে,
স্লিপ ডিস্কের ব্যথাটা বাড়ছে, এড়িয়ে
কবিতাকে দিচ্ছি আরেকটুখানি এগিয়ে...


তিস্তায় মিলিয়ে যেতে চাই, আমার ছাইরা পৃথিবীর তো নয়
কতটা মানুষ এক জন্ম ধরে সিন্ধু সভ্যতার কাছাকাছি হয়।


মেলেনি কিছুই যেমন জীবন চেয়েছিল
হেরেছি বলেই বুঝেছি বিক্রমের ব্যথা
তুমিও রং মিলন্তি ছন্দের আয়ু আঁচিল
খুঁজে নিয়েছো সাবেকি সে নক্সিকাঁথা।


সব পেরিয়ে আজও আমি চাই, ঝর্ণা থেকেই সমুদ্র হয়ে ওঠো মন
কল্পতরুর ঠোঁটে কোলবালিশ হবো, বাচ্চা মিথ বুড়োটুকুই যাপন...