শূন্যতা শেষ হলে বই নিয়ে বসি।
বৃষ্টি গন্ধ, শব্দের বইতে শব্দ হয়ে মিশছে।
অফিসের জানলার ধারে মানিপ্ল্যান্টগুলো
কেমন আছে ঐ সাত তলার উপর!
প্রশ্ন করতে ইচ্ছা করে শূন্যতায়।

অনেক কিছু ছেড়ে দিয়ে
ফেলে দিয়েছি শূন্যতার মানুষচক্রে।

তবু মটকা বিরিয়ানির সাথে রসগোল্লা
মনটা ভালো করেছিল।
বরাবরই খাদ্য ভুলিয়ে দ্যায় বিষাদজীবন।

শূন্য আয়ুপথে কী বা চাইতে পারি
একটা বই পথের গন্ধ ছাড়া।
এখন পাঠ করছি কপালকুন্ডলা।
পাঠ করছি।
পড়তে তো মানুষ পারলোই না।

বই পড়ে কেবল বৃষ্টিরা।
অঝোরে ভাসিয়ে দ্যায় নারীগন্ধের শহরকে।