আমাদের এখানে একটা ইমারত আছে।
আকাশে কালো মেঘ, অজস্র বৃষ্টি ফোঁটায়
বিষণ্ণতার ছায়া মনে হয় ঐ সব ইমারতি ঠোঁটে।
ঐ সব ইমারতের কবিতা পেরিয়ে
হেঁটেই চলেছি কলোনির পাশ দিয়ে,
ছোট ছেলেগুলো বৃষ্টির জলে লাফাচ্ছে।
পুকুরে ঝাপ দিচ্ছে,
ফুটবল খেলছে মাঠে।
কয়েকজন বয়স্ক চোখ বসে থাকলেও
তাদের চোখে পাড়ার মেসি-রোনাল্ডোকে
দেখার আনন্দ উৎসারিত হচ্ছে।


ওদিকে ঐ ইমারতে সমস্ত নিস্তব্ধ।
ঐ ঠোঁটের দল
সাজিয়ে নিচ্ছে ব্যাংক ব্যালেন্স
মিউচ্যুয়াল ফান্ড, এফডি।
গুছিয়ে রাখার বাহানায়
তৃতীয় ঢেউ জুড়ে যেতেই
অনলাইনের বাজার ঢুকেছে
বরফ সংসারে।
সংসারগুলোতে সবই আছে
কিন্তু প্রাণহীন সেল্ফি।


আর কলোনির এসব গলিতে উচ্ছ্বাস।
রাত জেগে টিকার লাইনে দাঁড়িয়েও
মুখের কোণে বাঁচার হাসি
লড়াই করার অদম্য ইচ্ছা,
ঠিক যেন লাদাখের -৩৫ ডিগ্রির মতো
জীবন রয়েছে এধারে।
বিষণ্ণতার ণ নেই দেশপ্রেমের অনন্তে।


এক তাগিদ।
সংসার শুধু অক্সিজেন আর কার্বনডাই অক্সাইডের নয়
জীবন আসলে সংগ্রামের।


সংগ্রামের সেই চোখেদের আড়ালে
লুকিয়ে থাকা গল্পরা
উপন্যাসের ধারাবাহিক প্লট নয়
বাস্তব এক দর্পন।


আয়নাগলি দিয়ে তাই হেঁটো
বিশ্বাস করো
না পাওয়ার বিষণ্ণতা
বদলে বদলে যাবে,
জ্ঞান দিতে না আসা পাখিরা
তোমাকেও উড়তে শেখাবে
হাঁটতে শেখাবে ভিড় রাস্তায়
তুমি মুখে মাস্ক পড়ে
এগিয়ে যাবে জন সমাগমে।


মেঘ নয় তখন রোদ্দুর উঠেছে
উলঙ্গ শিশু তোমার ওধারে
বলছে,
তুমি আমার ভাঙা খেলনা নাও
আমিও তোমার দামী পুতুল নেবো,
সাইকেলের হাওয়া খোলা সারমেয়টি
ল্যাজ নাড়বে, তাকে তুমিও বুঝতে পারছো
ঐ কুড়ে ঘরের মেয়েটিকে তখন
নিজের বউয়ের নাম দিতে লজ্জা করবে না।


বিষণ্ণতার মেঘ কেটে গিয়ে
বৃহৎ আমি তোমার সামনে
এসে দাঁড়াবে।
তোমাকে বলবে
লাদাখের এই ঠান্ডাতে বসেও
পরাবাস্তব কবিতা
গদ্য উপন্যাস
সব সব সব
সব কিছু লেখা যায়।


কারণ মানুষের খিল্লির বাঁ পাশের গলি দিয়ে
তুমি ফেলে এসেছো তোমার মৃতকাল
তোমার অমৃতসময় তোমার সামনে
তোমার চোখের মণিতে
আয়না করে দেখতে পাচ্ছে
হাজার বছরের কান্না-হাসি।