গভীর রাতে
স্বামী সন্তান ঘুমিয়ে পড়লে
মেয়েটা গল্প লিখতে বসে -
একটা হেরে যাওয়া জীবনের গল্প,
একটা যাচ্ছেতাই রকমের জীবনের গল্প।
আত্মজীবনী তো শেষ থেকেও শুরু করা যায়,
তাই প্রথমেই সে তার স্বামীর কথা লেখে -
ছোটলোক একটা,
অকারণে মারতে আসে,
কথায় কথায় গালাগালি দেয়।
সে কি এইরকম একটা স্বামী চেয়েছিল - চায়নি তো
রাক্ষনশীল পরিবার প্রেম মানে না,
তাই সম্বন্ধ করে বিয়ে।
আজকের দিনে পলি, নন্দিতা,
নবনীতার কথা খুব মনে পরে তার,
তাই ওদের কথাও লেখে সে।
ওদেরকে সে প্রায়ই বলত -
স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হলে
শশুর বাড়িতে 'ইয়ে' করে দিয়ে চলে আসব।
কিন্তু এখন আর
'ইয়ে' করে দিয়ে চলে আসার সাহস নেই তার  
মা দাদা আর সংসারের বোঝা বাড়াতে চায়না,
সমঝোতা করতে শেখায়
এম এ, বি এড পাশের কাগজগুলো
রুইয়ে খাচ্ছে!
কে খাওয়াবে তাকে?
কেই বা আশ্রয় দেবে যদি সে ডিভোর্স নেয়!
ছেড়ে আসা প্রেমিক আজ বিবাহিত,
সে শুধু সান্তনা দেয়
বেঁচে থাকার কথা বলে
লড়াই করার সাহস যোগায়,
আশ্রয় দিতে পারেনা -
আজকের দিনে
তার বাবার কথা খুব মনে পরে,
বাবা বেঁচে থাকলে জীবনটা এমন
তছনছ হয়ে যেত না তার,
একটু শান্তি পেত সে, আশ্রয় পেত ...


গভীর রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে
মেয়েটা গল্প লিখতে বসে
একটা মৃতপ্রায় জীবনের গল্প ...