অতীত তোমায় তাড়া করে বেড়ায়
তুমি একদিন মনে মনে ঠিক করলে
অতীত ছাড়াই বাঁচবে,
অন্ততঃ একটা দিন
এই ভেবে সকালে উঠে হাঁটতে শুরু করলে
হাঁটতে হাঁটতে মেয়ে ইস্কুলের কাছে
উক্যালিপটাস গাছটাকে দেখে
হটাৎ থমকে দাঁড়ালে
এখানেই তো প্রথম দেখা, সে রোজ
দাঁড়িয়ে থাকতো -
অতীত চিন্তা ঝেড়ে ফেলে
তুমি আবার হাঁটতে শুরু করলে
হাঁটতে হাঁটতে এবার তুমি
বড় রাস্তায় এসে পড়লে
যেখানে বানীশ্ৰী সিনেমা,
সিনেমা হলটা আর নেই
শুধু নামটাই আছে
আবার অতীত স্মৃতি হুড়মুড় করে
ঢুকে পড়ল তোমার মনে,
বিরক্ত হয়ে তুমি এবার ছুটতে
শুরু করলে
ছুটতে ছুটতে নীলাঞ্জনা পার্কের কাছে
তোমার পা দুটো থেমে গেলো
কত যে এসেছো পার্কে, বসেছো
ইস্কনের সিঁড়িতে, সব মনে পরে গেলো
সেসব পাত্তা না দিয়ে
তুমি আবার ছুটতে থাকলে
অন্নপূর্ণা মোড় , বাস স্ট্যান্ড, ষষ্ঠীতলা
মানুষের থিকথিকে ভিড়
এই ভিড় রাস্তায় একা কখনো হেঁটেছো কি ?
সে বড় ভালবাসত ওই ভিড়ে যুগলে হাঁটা -
একথা মনে পড়তেই তুমি বাসে উঠে
পড়লে, কোথায় যাবে জানো না
অভ্যাসবশত সেই ভিক্টোরিয়া নামলে !
এখানে একা কখনো --
না, এভাবে হবে না। তুমি এবার বাড়ির
দিকে ছুটতে লাগলে
ছুটছো ছুটছো
ছুটতে ছুটতে আবার পা গেলো থেমে
কালিতলা মোড়, লাল্টুর চায়ের দোকান
এখানেও অতীত ! সে বাড়ি পৌঁছে দিতে
আসতো এই মোড় পর্যন্ত।
আর সহ্য হয়না ! তুমি এবার এক ছুটে
বাড়ি, সোজা বাথরুম আর
বাথরুমে ঢুকেই এক এক করে খুলতে লাগলে
শাড়ী, সায়া, ব্লাউজ, অন্তঃবাস -
বিবস্ত্র হয়ে দেখতে লাগলে তোমার
ঠোঁট, স্তন, নাভি, উরু ইত্যাদি অঙ্গ
দেখলে অতীত তোমার সারা শরীর জুড়ে
কোনো উপায় না পেয়ে তুমি মাথায়
জল ঢালতে লাগলে  


এসো, বাইরে তাকিয়ে দেখো -
ওই দূরে টিনা, আমি আর অভি
অতীতকে সঙ্গে নিয়েই কেমন
হেঁটে চলেছি ভবিষ্যতের দিকে।