রবিবার মধ্যরাতে সূর্য উঠল দেউলপুরে
রবিবার মধ্যরাতে একফালি হামারফেস্ট উঠে এল দেউলপুরে।
সূর্য উঠা দেখবে বলে পায়ে পায়ে ভিড় বাড়তে লাগল শিউলিপাড়ার মোড়ে।
অসময়ে যাত্রীবোঝাই অটো এসে থামল ধুলাগড় থেকে, পাঁচলা থেকে, ডোমজুড় থেকে।
রবিবার মধ্যরাতে
আলোর রোশনাই আর ক্যামেরার ফ্লাশে
অকাল দীপাবলি পালিত হল দেউলপুরে।
এখন থেকে হাজার মাইল দূরে
ছেলেটা যখন দপ করে জ্বলে উঠল
আলোকদা চেঁচিয়ে উঠল - পেরেছে,
আমার অচিন্ত্য পেরেছে।
কে এই অচিন্ত্য ?
কেউ বলল আমাদের পাড়ার ছেলে
কেউ বলল ও আমাদের দেউলপুরের
কেউ বলল আমাদের পাঁচলার ছেলে
আমি বললাম আমার পাশের গ্রামের ছেলে
মিডিয়া বলল হাওড়ার ছেলে, বাংলার ছেলে
এখন থেকে অনেক দূরে ব্রিটিশ ভূমে
তখন ঘোষিত হল - অচিন্ত্য শিউলি ফ্রম ইন্ডিয়া
অষ্টদা বলল দেখ দেখ আমাদের ছেলেটা কেমন সার্বজনীন হয়ে গেল।
অজ পাড়া গাঁয়ের যে ছেলেটা
এতদিন স্বপ্ন দেখত -
একটু আলো এসে পড়ুক তার মুখে
সংসারের অভাব যাক ঘুচে,
আজ বার্মিংহামের মঞ্চে দাঁড়িয়ে থাকা
সেই ছেলেটা যেন নিজেই আলোর উৎস
সূর্যের মতোই স্থির কিন্তু তেজী।
তার গা থেকে আলো ঠিকরে পড়ছে,
রকেট গতিতে টালির চাল ফুঁড়ে
সেই আলো সোজা এসে পড়ল পূর্ণিমা দেবীর মুখে, দেউলপুরবাসীর মুখে।
রবিবার মধ্যরাতে সেই আলো মেখে
হটাৎই দেউলপুর হাঁটতে শুরু করল।
প্রথমেই হেঁটে গেল পাঁচলায়
তারপর হাওড়া হয়ে গোটা বাংলায় ,
শেষে দেউলপুর পৌঁছে গেল সারা ভারতবর্ষে


রবিবার মধ্যরাতে সূর্য উঠল দেউলপুরে ।