ছুটির দিন শুক্রবার। কুয়াশা ভরা দিন কোথাও বেরুনোর উপয়ান্তর না পেয়ে কাঁথা মাথামুড়ি দিয়ে অনেকদিন বাদে কিছু লিখতে মন চাইছে।
অবশেষে কাগজ কলম হাতে তুলে নিলাম বটে- কিন্তু  ভাবছি!! কি লিখব।
অনেক দিন তো কিছু লেখা হয়না।
সংসার নামক দুরন্ত স্বভাবের ঘোড়া আমাকে দৌড় করাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
না, আজ যখন পৌষের শুরুতে জাকিয়ে বসা শীতের অজুহাতে একটু খানি সময় পাওয়া ; তো তখন তোমাকে একটা চিঠি লিখি।
অনেক দিন তোমার খোজ জানিনে, চিঠিও লেখি না, তুমিও ভুলে গেছ।।
তোমাকেই বা দোষি ভাবি কি করে, বক্ররেখার দু পাশে আমরা দুজন সে অনেক দিন।
আমি লিখছি ---। সম্মধোনের যায়গাটা আজ আর নেই। তাই এক রকম বাধ্যহয়ে ফাকা জায়গাটায় ফাক রেখেই লিখলাম-
এখন তুমি কেমন আছ!
ভাল তো!!- কতদিন তোমায় দেখি না।
জানি না তুমিও আমার মত অশ্বরথের চাকা হয়ে অবিরাম ছুঠছ কিনা।
লিখতে লিখতে আমার হাত অসার মত লাগছে, একটু গতি কমিয়ে পড়ে নিলাম লেখনির পুর্বেকার অংশটা; না এটাতো চিঠি হল না - কবিতার মত লাগছে।
আসলে সত্যিই চিঠি লিখতে বসে আজ যেন আস্ত একটা  কবিতাই লিখে ফেললাম।
শুনেছি তুমি নাকি আজকাল একটা পত্রিকার কাজ করছ সম্পাদকের -
বেশ নাম ডাকও তোমার।
আচ্ছা লেখাটি তোমাকে পাঠালে তুমি তোমার পত্রিকার পাতায় ছাপাবে!
-ছাপাবেতো কবিতার প্রচ্ছেদ আকারে।
তুমি জানো। অতীত, বর্তমান যাই হোক। আমাদের সব কথাগুলো সাদা কাগজে ভরালে হয়ত কবিতা হবে। পাঠকও পড়ে পড়ে মন ভরাতে পারবে। আজকাল বিরহী কবিতার খুব কদর।
কেন?? তুমি দেখনি, হুমায়ুন স্যারের চাঁদনী পশর রাতের কথা।। প্রেমিক বলছে, জ্যোৎস্না রাতে কে আমায় স্বরন করে আর-
খুব সম্ভবত সুমনবাবু লিখেছিল-
তুমি হেলায় হেরিছ শাল বৃক্ষ, কি করে বানাবে শক্ত নৌকো। কি করে পারাপার হবে গঙ্গা।
যদি শিমুল কাঠের নৌকোর তলা ফেটে ঊর্ধ্বে উঠে জল- বাঁচানো কি যাবে দুজনের প্রান।।
সাদাকালো জীবনের আলোকচিত্র প্রদর্শনী করে চলছি আমরা নিত্যনতুন দিনরাতের অতিক্রান্তে -
নতুন ভোর আসে, সুর্যউদয়ে সকাল আসে দুই আঙ্গিনায়
মাঝখানে চুনসুরকির দেয়াল নয় আছে শুধু আছে সীমাহীন দূরত্ব -
দূরত্ব ছাপিয়ে সময় পেলে একটু ভাবনা, যেন তুমি আমি খুব কাছাকাছি।।