বাসন্তী" দু-চোখের শানিত দৃষ্টিতে এখন আর আলো জলে না ; দুর-নীলিমায় যখন কিছু খুজেফিরি
তখন অঝোরে বৃষ্টি ঝরে -ঝর ঝর
তাকিয়ে দেখি- উদাস নয়নে
দেখা যায় ছোট্ট হয়ে এসেছে কাঙ্ক্ষিত পৃথিবীর সবকিছুই।
অদৃশ্য হয় কামনাগুলো , ফিকে হয়ে আসে ভাবনা
আমি দাড়িয়েই রই-
দাড়িয়ে থাকি রিক্ত হস্তে।


সাগর! মহাসাগরের অতলান্তে কিছু নুরি বাসা বেঁধেছে
তাই দেখে পোড় খাওয়া চোখে স্বপ্ন ভাসে
নতুন করে সাধ জাগে
কামনায় রং ধরে পুনরায় ; আমি চুড়ই পাখি হই-
বাসা বাধি,,
আশ্রিত বাসা!! কতদিনই বা থাকা যায়!! পরের জমিনে।


বাসন্তীরা আজকাল রাধিকার স্বপ্নে একদম ভাসে না
তারা নিত্য ভাঙ্গে আর গড়ে।
বাঁশির সুর তাদের কান অব্দি পৌঁছায় না-
কলসি গলে নয়
কলসি কাংকে তারা যমুনার পাড়েও যায় না
যতদুর শুনেছি;
কৃষ্ণ বিরহ তাদের হৃদয়কে পোড়ায় না।


মথুরার বিন্দাবন আজ মরুভূমি
প্রেম লিলার বদলে
আজ সেখানে রেশমের চাষ
রাধার আত্নত্যাগ আর কৃষ্ণের অনুরাগে ভরা ছলনাগুলো
হাসি খেলায় মাতে না।
তার উপর যমুনার আত্ন-অনুশোচনা-
সবি যেন বৃথা।। রাধিকার মৃত্যুও!!


শুধু মহিষাসুর বধ! যোন মোহনবাসীর তৃপ্তিগুলো
যমুনার নীল জলের কলকল ধ্বনিতে মিশে যায়।
আমারও সম্বিত ফিরে
আর-মোড়া ভেঙে ছুটে চলি বাসন্তীদের খোঁজে।।