অবরুদ্ধ দ্বার তবুও উন্মোচিত আমি


নীল আকাশটা বরাবরই ভাল লাগে আমার, সে আকাশে মেঘ জমে থাকে না, বৃষ্টিও ঝড়ে না।
গগন চুইয়ে খানিক রোদ খেলা করে প্রকৃতির আঙ্গিনায় তাই হবে হয়ত। আমার ভাললাগার একমাত্র কারন নীল গগন ।
আমি অনেক বর্ষা দেখেছি, দেখেছি মেঘলা আকাশে
বৃষ্টি ঝড়তে।
বহুবার ভিজেছি সেই বরসায়।
শুধু আমি একা নই, অনুর্বর মৃত্তিকাও ভিজেছিল, ভিজে জলমগ্ন কাদোকাদো বেলে দোআশ মাঠ প্রান্তর;
তাই দেখে কৃষক হাসে কাধে জোয়াল নিয়ে।
আমি হাসতে পারিনা-আমার দুচোখ বেয়ে অশ্রুপাত হয় যেমন বৃষ্টি ভেজা শরির হতে বৃষ্টির জল ঝড়ে পড়ার মত।


আকাঙ্খা আর হতাশার কবিতা আমার নিত্যকার সঙ্গী-
আমি বিরহী কবিতায় হারিয়ে যাওয়া কাউকে খুজি!!
আর সন্তপর্ণে বিরহকে লালল করি।
নীল আকাশে মেঘলা আকাশের বিবর্ন রেখা গুলি এঁকেবেঁকে ঢেউ খেলে রামধনুর মত। আমার বেশ ভাল লাগে তখন-
একফালি রোদ যখন আমার শরির বেয়ে উষ্ণতা ছড়ায় আর প্রকৃতিকে হাসিয়ে দিয়ে যায়।
না পাওয়ার অসিম মগ্নতা আমার মাঝে কিছুটা হলেও গাঢ় মোহনীয়তা ছড়ায় বৈকি। আমার বেশ ভাল লাগে তখন।
উত্তর, দক্ষিনগ, ঈশান সবগুলো কোন আজ রুদ্ধ- অবরুদ্ধ গোটাটাই আমি- যেন মুর্তিমানব।
কোথাও যেন কেউ নেই শুধু শুন্যতা!! শুন্যতা নিয়ে আমার ইহকাল।
পরম যতনে একদিন একটা কদম ফুলকে জঠরে ধারন করে খুব ভালবেসেছিলাম।
মনের ফুলদানিতে সাজিয়ে কতসব স্বপ্ন, গন্ধও ছড়াত আর মোহময় করে তুলত দ্বোর।
ভাবলাম শিখর গজিয়ে উঠবে, নতুন কুড়ি হবে একদিন।
হল না!! তবে একটা চমৎকার দৃর্শের অবতারণ করে একদিন বিদায় ঘন্টা বাজিয়ে ঝড়ে পড়ল বালুকায়।
সেইদিন হতে কদম আমার দুঁচক্ষের বালাই। সেই সাথে তার জন্মতিথি ঘন বর্ষা ও বৃষ্টি।
রোদ বৃষ্টির নাটক কতকাল ধরে চলবে আমি জানি না-
কেউ জানে কিনা সেটাও অজানা।
শুধু জানি হেমন্তের আতুর ঘরে মিষ্টি রোদ নাকি অবিরাম খেলা করে। নিজের ছায়া যখন প্রতিবিম্ব হয়ে আমার সঙ্গি। প্রশ্ন!! করি তুমি পারবে?
অনেকবার জিজ্ঞেস করে বুঝতে পারি - নাহ কায়া তো
চুরন্ত রকম বধিরত্ব নিয়ে তার প্রানপন বেঁচে থাকার লড়াই করছে মাত্র।